“অন্ধ মুসাফির” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
ভাষার প্রধান ইন্টেনশন যেহেতু যােগাযােগ, আর শিল্প যখন সচেতনভাবে নিজের মাঝে বাস্তবের কোন একটা অবস্থারে রিক্রিয়েট করতে চায়, সেইখানে হাইপােথেটিক্যাল হবার কোন উপায় নাই কিংবা উচিতও না। অন্ধ মুসাফিরে নিজেরে কানেক্ট করার উপায় রাখা আছে বা এমন উপায়গুলাে নিয়েই কবি মাস্টারি করছেন যেগুলাে বাস্তবতার প্যারালালে এমন অবস্থা তৈরি করেছে, যেখানে আমাদের ভ্রমণটা আরামের। অন্ধ মুসাফিরের প্রতিটা কবিতায় বসন্তের দাগের মতাে স্পষ্ট ফুটে আছে সময়, প্রশ্নচিহ্ন, সন্দেহ, ইতিহাস। আমার ধারণা এই সমস্তকিছুই কবিতার মাতৃভাষা। এইগুলাই সে বলতে চায়।
জুতােয় ফুটে থাকা সেলাইয়ের কারিশমা আমার কাছে কবিতার ভাষাশৈলিরে মিন করে। অন্ধ মুসাফিরে কবি ভাষারে নিয়ে বিস্তর নকশা আঁকছেন। আরবি শব্দের ব্যবহার তিনি করেছেন বড় আপার কাঁথা সেলাইয়ের নিপুনতায়। রাষ্ট্রের দেয়ালে অন্ধ মুসাফির এক পেরেক। যা অনবরত মানুষের মৃত আত্মাকে ঠুকে চলেছে পুনর্জীবনের আশায়।
– শুভ্র সরকার