শমসের আলী একজন ভ্রমণপ্রেমী মানুষ। সারা। বছরই তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে থাকেন। বিদেশে ভ্রমণ না-করে দেশে বসে থাকাটা তার কাছে দম বন্ধ দম বন্ধ বলে মনে হয়। তাছাড়া শমসের আলী জানেন, জ্ঞানার্জনের জন্য মানুষের সামনে দুটোমাত্র পথ খােলা । এক. বই পড়া। আর দুই. ভ্রমণ করা। মানে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ানাে। তাই বলা যায় জ্ঞানার্জনের জন্যও তিনি ভ্রমণ করে থাকেন। ভ্রমণকালীন সময়ে তিনি দেশ থেকে কিছু জিনিস সাথে করে নিয়ে যান। বিদেশে তার অনেক আত্মীয়স্বজন রয়েছে। বন্ধুবান্ধব রয়েছে। দেশ থেকে বিদেশ গেলে তারা তার কাছে কিছু একটা আশা করেন। তাদের খুশি করার জন্যই তিনি কিছু একটা জিনিস উপহার হিসেবে নিয়ে যান।। যেমন—চ্যাপা শুটকি, বােম্বাই মরিচ, সাতকরা ও লেবু ইত্যাদি। এসব জিনিস পেলে তার বন্ধুরা খুব খুশি হয়।
সে বার শমসের আলী তার এক বিদেশী বন্ধুকে উপহার দেবেন বলে দেশ থেকে কিছু কাঁকড়া কিনে নিলেন। জীবিত কাঁকড়া। একটি ব্যাগে ভরে তিনি কেজি দুয়েক কাকড়া নিয়ে নিলেন। বন্ধুটির দেশে কাঁকড়ার বড়াে কদর। কারণ কাঁকড়া খুবই প্রােটিন সমৃদ্ধ খাবার। কাকড়ার প্রােটিন শমসের আলীর বন্ধুটির খুব পছন্দ।
বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে কাঁকড়াদের নখের খামচায় শমসের আলীর ব্যাগের গায়ে একটা। ফুটো তৈরি হয়। সেই ফুটো দিয়ে কাঁকড়ার পা বেরিয়ে পড়ে। ব্যাগ ছিড়ে কাঁকড়ার পা বেরিয়ে পড়ছে দেখে পথের মধ্যে জনৈক ব্যক্তি তাকে সাবধান করার জন্য বললেন, জনাব। আপনার ব্যাগটা ছিড়ে গেছে…