“লালশাড়ি” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
কোথা থেকে শুরু করব বুঝতে পারছি না। আসলে যখন একসাথে অনেক কথা বলার থাকে তখন কথা আটকে যায়, কোথা হতে শুরু করতে হবে বােঝা যায় না। আচ্ছা শুরু করা যাক ‘লালশাড়ি’ উপন্যাসটা কেন লিখলাম? সময়টা ২০১৩ সাল, তখন আমি বাচ-বিচারহীন পাঠক। যা সামনে পাচ্ছি পড়ে ফেলছি। পড়তে পড়তে হঠাৎ করে মনে হলাে বিয়ে নিয়ে লেখা বা বিয়েকে থিম করে কোন লেখা বই আমি পড়িনি। শুরু করলাম খোজা। কিন্তু তেমন বিশেষ কিছু পেলাম না (থাকতে পারে, আমি পাইনি)। হুমায়ূন আহমেদের ‘বাসর’ পড়লাম কিন্তু মনের শূন্যতা পূরণ হলাে না। দেখলাম বিভিন্ন বইয়ের একটা অংশ বা ঘটনা বিয়ে নিয়ে, কিন্তু বিয়েকে থিম করে বা পুরাে একটা উপন্যাসই বিয়ে নিয়ে এমনটা পেলাম না। সংসার সম্পর্কে মতাে জটিল জটিল সব কথা বা তথ্য শুনে থাকি যে, সে লিস্ট আমি আর ভারি করতে চাইনি। বই পড়ে পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে হানিমুনটা নেই কেন? গল্পের প্লটের জন্য হানিমুনটাকে বাদ রাখা হয়েছে। আরও একটা প্রশ্ন জাগতে পারে, ভূমিকা লেখার কি দরকার ছিল? হঁ্যা ছিল। বইটা পড়ে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন জাগতে পারে। কাছের মানুষেরা হয়তাে আমাকে পেয়ে জেনে নিল, কিন্তু আমার বাকি পাঠকেরা? যারা অনেক দূরে বসে আমার বইটা পড়ছেন। আমি আসলে পাঠকদেরকে অত্যন্ত ভালােবাসি। এতটা বাসি, যতটা ঠিক পরিমাপ করা সম্ভব ।