“হোয়াইট হাউজ কেলেঙ্কারি” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
১৯৯৮ সাল যখন বিদায় নেয় তখনও আমরা জানতে পারিনি, সত্যি সত্যি বিল ক্লিন্টনের ভাগ্যে কি লেখা আছে। অবশেষে মার্কিন সেনেট সরকারী ভাবে তাঁকে ইমপিচ বা ভৎর্সনা করেছে। তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের মনে বিল ক্লিন্টনের জনপ্রিয়তার রেখাটি কিন্তু ক্রমেই নিম্নমুখী হয়নি। একই ঘটনাই প্রমাণ করে মার্কিন দেশে এখনও গনতন্ত্রের জয়ধ্বজা উডডীন। রাষ্ট্রনায়কদের ব্যক্তিগত জীবনের সুখ দুঃখ ব্যথা বেদনার অভাব অভিযােগ, ভালােবাসা অভিমান কামনার ছাপ সেখানে খুব একটা পড়ে না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যদি গত দুশাে বছরের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ঐতিহ্যের প্রতি দৃকপাত করি এবং বিভিন্ন মার্কিন রাষ্ট্র প্রধানদের একান্ত ব্যক্তিগত প্রেম, নিষিদ্ধ অভিসার ও দুর্জয় ব্যভিচারের গল্প গাঁথা সযত্নে চয়ন করে আনি আপনাদের সামনে তাহলে কেমন হয়? যে ইতিহাসে আজ কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, সে সব ছবি ক্রমশঃ হয়ে গেছে ধূলি ধূসরিত, স্মৃতির সমুদ্রে অবগাহন করে যদি তাদের আমরা তুলে আনি এবং সযত্নে চয়ন করে তুলে ধরি এ যুগের।