এত দীর্ঘশ্বাসের ভীড়ে প্রাণবন্ত নিঃশ্বাস নিতে পারাটা এখন যেন ইতিহাস। ঐতিহাসিক চক্রবাকে চক্রাকারে যা ফিরে আসে, তা স্বাভাবিক নিয়মে তার গতিপথ খুঁজে পায়। কিন্তু যা ঘূর্ণির বায়ুতে ভর করে এলোমেলো সাজে সজ্জিত হয়, তা অধরা থেকে যায় আজীবন। হয়ত এই অধরাকেই নিয়তি বলে।
উপন্যাসে মধ্যবিত্ত মানুষটার ঝলমলে আকাশ সময়ের আবর্তে বারিধারায় সিক্ত হয়ে যখনই রৌদ্রময় দিনগুলোতে নিজেকে ফিরে পাবার আশায় স্বপ্নের মুখ দেখে, তখন কেনো সেই দর্প চূর্ণ হয় এক সূর্যগ্রহণে। মানুষের অফুরন্ত ইচ্ছেশক্তির আদর্শে যা রাখা হয় সযতনে সেই অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হয় তা-ও অতি গোপনে।
নিবিষ্টচিত্বে উপন্যাসের পাঠগুলো পঠনের মধ্য দিয়ে পাঠকগণ তা জানতে পারবেন এবং বেদনার রেস্তোরাঁ উপন্যাসটি নিঃসন্দেহে সমকালীন সাহিত্যাঙ্গনে এক অনন্য অভিজাত সংযোজন।