প্রেম আসলে স্থায়ী কোনাে সম্পর্ক নয়। প্রেম হলাে দুইজন মানুষের সীমাহীন চাওয়া-পাওয়া এবং ভালােলাগার একটি ক্ষণস্থায়ী মােহ, যা সময়ের প্রেক্ষাপটে এবং স্বার্থের কাছে বারবার বলি হয়ে যায়। ভালোবাসার বলিখেলায় পুরুষেরাই নিয়ন্ত্রকের একক চালিকাশক্তি। হরমােন জনিত কারণেই বােধয় পুরুষ মানুষ খুব সহজেই অন্য নারীর প্রতি দুর্বল হয়ে যায়। এর বৈজ্ঞানিক যুক্তি আমি জানি না, তবে এতটুকু বুঝি- পুরুষের কাছে নারীর দেহ পৃথিবীর সকল রহস্যের চেয়ে অপরাজেয় রহস্য। এই রহস্যের ঘাের ভেদ করে খুব কম সংখ্যক মানুষই নিজেকে আবিষ্কার করতে পেরেছে। নারীর দেহের প্রতিটি ভাঁজে-ভাঁজে, প্রতিটি নিঃশ্বাসে, বচন-ভঙ্গিমায় পুরুষ তার শৈল্পিক উচ্ছাস খুঁজে পায়। খুঁজে পায় ভিন্নতা। আর এই ভিন্নতার খোজেই সে একজন ভালােবাসার মানুষকে স্ত্রীতে রূপ দেয় । তারপর স্ত্রী থেকে অন্য নারী, অন্য নারী থেকে যেকোনাে নারীর দিকে ধাবিত হয়। – জহিরুল ইসলাম রােমান