জীবন হলো একটি বগক্ষেত্র যার চারটি কোণ । প্রত্যেক কোণেই দণ্ডায়মান বদলের বাক, দৃশ্যের বিপরীতে এখানে দৃশ্য বদলায়, পাল্টে নেয় রং। কোথাও আলো কোথাও অন্ধকার, কোথাও সঙ্গীত আবার কোথাও ভাংচুর- এমন সব যাপন চিহ্নগুলো অত্যন্ত উজ্জ্বল হয়ে লেপ্টে থাকে সামগ্রিকতায় । এখানে ছায়ার ব্যারোমিটারে ওঠানামা করে জৌলুশ, আত্মত্মদ্বন্দ্বের প্রতিধ্বনি এখানে পথ সেজে যায়, ক্যানভাসে ফুটে থাকে শিশি স্বভাবের পারিজাত । বিবিধ চাওয়ার এক পর্যায়ে লৌকিকতা ছেড়ে বেরিয়ে আসে পারফিউম বাক্স, আমরা মুঠোভর্তি ঘ্রাণ আয়ত্ত করতে গিয়ে দেখি নিজেই শব হয়ে পড়ে আছি অন্যের খেরোখাতায় ।
প্রাত্যহিক হিসেব-নিকেশের পঙক্তিমালা আওড়াতে আওড়াতে দিক ভ্রান্তের মতো পথ হাতড়াই । সূর্য পাতের শেষে পতিত জোছনায় ন্যারেটিভ খামভর্তি করে মর্ডান মেট্রোরেল কখনো কখনো থেমে যায় পোস্ট-মর্ডান গলির ধারে হু হু করে বাতাসে সিগন্যাল কেটে যায়… হিল্লোল জাহান— কবিতায় দ্বিধা আঁকেন নাকি নিজেই জড়িয়ে যান’ সিদ্ধান্তটা ঋষি সময়ের লকারে ।
হিমাদ্রী চৌধুরী
ঢাকা, বাংলাদেশ ।