মাঝ রাত্তিরে সুচরিতা উঠে তার দুই সন্তানের বালিশ ঠিক করে দিলেন, গায়ের সরে যাওয়া চাদরটি যথাস্থান আনতে গিয়ে দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়তে লাগলাে। এ মানুষটির স্বভাব চরিত্র খুবই অন্যরকম একেবারে নরম, ভদ্র আর মার্জিত। কথা এপাশ ওপাশ হলেই কান্না তার। দুচোখ বেয়ে টাপুর টুপুর পড়া শুরু করে। আজ কান্নাটা একটু অযৌক্তিক মাথার কাছের জালনার পর্দা সরিয়ে দেবার সঙ্গে সঙ্গেই সুচরিতার মন। ভালাে হয়ে গেল, ফুটফুটে চাঁদের। আলােতে তার স্বামী হাশিমের মুখখনা রূপকথার নায়কের মতাে লাগছে। খুবই দ্রুত গতিতে সুচরিতা দু’দুটো। চুমু তার স্বামীর একদম ঠোট বরাবর বসিয়ে দিলেন। ঘুমের ঘােরে স্বামী মহাশয় উত্তর দিলেন- ও সু, কি যে করাে না!