মায়ানমার (বার্মা) বাংলাদেশের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী অন্যতম প্রতিবেশী দেশ। এককালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলাের বেশীরভাগ অভিন্ন ব্রিটিশ। সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত ছিল। মায়ানমার তাদের মধ্যে অন্যতম। মায়ানমারে বৌদ্ধ, মুসলমান, হিন্দু, খ্রীষ্টান এবং বিভিন্ন উপজাতিসহ অসংখ্য জাতি ‘গােষ্ঠি বসবাস করে। তার মধ্যে মুসলমানেরা অন্যতম। এখানকার আরাকান রাজ্যে বর্তমান রাখাইন স্টেটে ইসলাম ধর্মের প্রচারক হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর জীবদ্দশায় ইসলাম ধর্মের প্রচারের ইতিহাস পাওয়া যায়। কালক্রমে বিভিন্ন কারণে এ অঞ্চলে মুসলমানেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিতে পরিণত হয়। ১৭৮৪ খ্রীষ্টাব্দে বর্মী রাজা বােধপায়া আরাকান আক্রমন করেন এবং স্বাধীন আরাকানকে বার্মার অন্তর্ভূক্ত করেন। সেই থেকেই মায়ানমারের বৌদ্ধ (মাঘ) সম্প্রদায়ের লােকেরা এবং সে দেশের সরকার মুসলমানদের হত্যা অত্যাচার, অবিচার, ধর্ষণ, লুটপাঠ, বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়া ইত্যাদির মাধ্যমে দেশত্যাগে বাধ্য করছে। তারা রােহিঙ্গা জাতিসত্তাকে দুনিয়া থেকে চিরতরে উৎখাত করে দেয়ার জন্য চেষ্টা করছে। অনেক ক্ষেত্রে সফল কামও হয়েছে। ইতিহাসের এই বর্বরতম ইতিহাস আমাদের প্রজন্মের অনেকেই জানে না। যুগ যুগ ধরে চলমান এরকম ‘একটা জঘন্যতম ইতিহাস দুনিয়ার লােকেরা দেখেও না দেখার ভান করছে। তারা শুধু রােহিঙ্গা। জাতিসত্ত্বাকে ধ্বংস করে ক্ষান্ত হয়নি, তাদের ইতিহাসও তারা পরিবর্তন করে ফেলছে। তাদের প্রতি জুলুম নির্যাতনের সঠিক ইতিহাস মুসলিম জাতিকে জানতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস উপন্যাসটি পড়লে রােহিঙ্গা জাতি সম্পর্কে একটা সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে।