সে ‘জেন্টেলম্যান ওয়াক’ করে। ক্রিকেটে জেন্টেলম্যান ওয়াক বলে একটা ব্যাপার থাকে। আম্পায়ার আউট দেয়নি, অপরপক্ষ থেকেও আসেনি কোনও আবেদন, তবু ব্যাটসম্যান রওনা দ্যায় সাজঘরের দিকে। কারণ সে জানে তারব্যাটিং এ ভুল ছিল, কোনও না কোনওভাবে সে আউট হয়েছে। সে তার ত্রুটিটুকু জানে। বর্ণাও ক্লান্ত ব্যাটার। সে বুঝেই গেছে যে সে আউট হয়েছে, তবে আর কেন আম্পায়ারের আঙুল। তােলার অপেক্ষায় থাকা। কিন্তু তবু মনের কোণে কোথায় যেন মনে হয় শেষ পর্যন্ত যাবে না মিলন। আবার মনে হয়, গেলেই। কি? শরীরই কি সব? এটা তাে একটা প্রয়ােজন। বর্ণার প্রয়ােজন নাই বলে যে মিলনেরও নাই-তা। তাে নয়। বরং এই তাে ভালাে। যাক না সে। সে তাে চাইছিলই মিলন ভালাে থাকুক নিজের মতাে করে। তাহলে এটা নিয়ে এতাে কাতর হচ্ছে কেন সে? কেন বিভা আরণ্যক এ অচেনা একটা লােক। আর্কাদিওর সঙ্গে যা করেছিল সেটা বর্ণা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারলে মিলনেরটা পারবে না। মিলন এখন আর কি হয় তার?