“কলিকাতায় বঙ্গবন্ধু” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
১৯৪৭-এর মধ্য আগস্টে যে ভারত বিভক্ত হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে সেই বিভক্ত ভারতে ভারতবর্ষের দুই বৃহৎ সম্প্রদায় এর মানুষ যথাক্রমে হিন্দু-মুসলিম খণ্ডিত ভারত এ মুসলিমরা আর নবগঠিত পাকিস্তানে হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বাংলাদেশে ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ যুক্ত হয়ে ওঠে। ধর্ম কখনও যুক্ত ছিল না রাজনৈতিকভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবনে। তিনি কখনই অদূরদর্শীতায় ভূগতেন না। তার প্রমাণ আমরা পাই যেখানে দক্ষিণপন্থী নিখিল ভারত মুসলিম লীগ ১৬ আগস্ট ১৯৪৬ ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস’ এর ডাক দিলেন, সেখানে তিনি দাঙ্গাপীড়িত মানুষকে বাঁচাবার জন্য শরণার্থী শিবিরে কাজ করলেন।
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে কলকাতা এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ যে এই শহরই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সচিবালয় স্থাপিত হয়েছিল। এই শহরেই তাঁর নেতৃত্বে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুকে আমরা কলকাতার জীবনে দেখছি রাজনৈতিকভাবে সার্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গির দিকে যাবার অবস্থান থেকে, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র পরিষদ-এর সাথে যৌথভাবে যুগপৎ আন্দোলন করতে। আর এর মাধ্যমে সবার কাছে পাশের বাড়ির ছেলেটি হয়ে ওঠেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকে আমরা দেখতে পাই বাঙালি জাতির জন্য সার্বজনীন হবার প্রেক্ষাপট দেখে।