প্রাণ থেকে প্রাণে – ২য় খণ্ড

৳ 300.00

লেখক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
প্রকাশক বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
আইএসবিএন
(ISBN)
9841805162
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ২০৪
সংস্কার 1st Published, 2020
দেশ বাংলাদেশ

“প্রাণ থেকে প্রাণে – ২য় খণ্ড” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
এদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি তথা সামাজিক অঙ্গনের অন্যতম উজ্জ্বল নাম আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। শিল্প ও সংগঠন এই দুই ক্ষেত্রেই সাফল্য তার যুগপৎ। কিন্তু এসবের বাইরেও তাঁর প্রতিভা আরও একটি ক্ষেত্রে সমভাবে বিচ্ছুরিত। তা হল প্রাণবন্ত সপ্রতিভ চিত্তাকর্ষক বাচনভঙ্গি ও অসামান্য বক্তৃতাক্ষমতা। এক্ষেত্রে তিনি অনন্য নন কেবল, এদেশে প্রায় অদ্বিতীয়।
টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে, শিক্ষকতায় ও। বক্তৃতামঞ্চে তাঁর বাচনিক প্রতিভার উজ্জ্বল দীপ্তি। এদেশের দর্শক শ্রোতাকে দীর্ঘদিন ধরে মুগ্ধ করে রেখেছে। বক্তৃতামঞ্চে তাঁর মৌখিক ভাষণ বুদ্ধির দীপ্তিতে, স্বতঃস্ফুর্ততায়, স্নিগ্ধ হাসিতে, কবিতার বিভায়, বিষয়ের। গভীরতায় ও অবিশ্বাস্য অন্তর্দৃষ্টিতে ঋদ্ধ। একই সঙ্গে বহু-কৌণিক হীরকখণ্ডের মতাে তা দ্যুতিময়-ঝর্ণার মতাে অবিরল, প্রাণবন্ত। তাঁর এসব অসামান্য মৌলিক বক্তৃতা থেকে ২৭টি বক্তৃতা ‘প্রাণ থেকে প্রাণে’ দ্বিতীয় খণ্ডে প্রকাশিত হল। বক্তৃতা মঞ্চে উপস্থিত বক্তৃতাও যে কতখানি শিল্পগুণসম্পন্ন ও উন্নতমানের সাহিত্য হতে পারে, এই বক্তৃতাগুলাে তার দলিল।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ একইসাথে একজন খ্যাতিমান সাহিত্যিকও। আর সমাজ সংস্কারের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে জড়িয়ে থাকায় একজন সমাজ সংস্কারক হিসেবেও পরিচয় লাভ করেছেন তিনি। এই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব কলকাতার পার্ক সার্কাসে ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন, তবে তাঁর পৈতৃক নিবাস বাগেরহাট জেলার কামারগাতি গ্রাম। পাবনা জিলা স্কুল থেকে তিনি মাধ্যমিক এবং বাগেরহাটের প্রফুল্লচন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর উচ্চশিক্ষার্থে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন এবং পরবর্তীতে এখান থেকেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনে একজন শিক্ষক হিসেবে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। ঢাকা কলেজ, রাজশাহী কলেজসহ বিভিন্ন কলেজে তিনি অধ্যাপনা করেছেন। টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপস্থাপনার মাধ্যমে টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। আর ষাটের দশকে বাংলাদেশে সাহিত্যের এক নতুন ধারা সৃষ্টির আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে, এবং একইসাথে 'কণ্ঠস্বর' নামক একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করে নতুন ঐ সাহিত্যযাত্রাকে করেছিলেন সংহত ও বেগবান। শুধু তা-ই নয়, দেশের মানুষের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলে তাদের মাঝে জ্ঞান ও শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়ে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ১৯৭৮ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন 'বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র', যা চল্লিশ বছরেরও অধিক সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে এই লক্ষ্যে। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর বই সমূহ এই ব্যাপারে বিশেষ অবদান রেখেছে। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর বই সমগ্র এর মধ্যে 'ভাঙো দুর্দশার চক্র', 'আমার বোকা শৈশব', 'নদী ও চাষীর গল্প', 'ওড়াউড়ির দিন', 'অন্তরঙ্গ আলাপ', 'স্বপ্নের সমান বড়', 'উপদেশের কবিতা', 'অপ্রস্তুত কলাম' ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সাহিত্য, শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি 'বাংলা একাডেমি পুরস্কার', 'একুশে পদক', 'র‍্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার' ইত্যাদি সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ