নির্জন অরণ্যে একাকী হাঁটি
পাতায় পাতায় যেন সাঁতার কাটি,
অনাবিল আনন্দে লুফে নিই জ্ঞান
আনমনে কখনো বসে করি ধ্যান।
‘একজন লেখক, পাঠকের মননে-কাননে ঘুরে বেড়ায় ভ্রমরের মতো। আর আহরণ করে মস্তিষ্কের নির্যাসিত রস এবং তা রূপদান করে মলাটে।’ কবি ও শিশুসাহিত্যিক কানিজ ফাতিমাও অসংখ্য পাঠকের মননে বিচরণ করে- সুনিপুণ আক্ষরিকে রচিত করেছে কিশোর কবিতা ‘ছুটিরাঙা দুপুর’ যেটা সৃষ্টশীলের এক বিশেষ পরিচায়ক। তাঁর প্রত্যেকটি কবিতায় রয়েছে নতুনত্বের নির্যাস, যা পাঠকের হৃদয়কে আকর্ষিত এবং মেধাকে সৃজনশীল উপযোগী করে। বিমোহিত করে ছন্দ ও শৈল্পিক গাঁথুনি।
জ্ঞান মানুষকে বিনয়ী করে, করে উদার। জ্ঞান মানুষকে ভাসায় মহাকালের অতল দরিয়ায় এবং সাক্ষাৎ করিয়ে দেয় যুগে যুগে চির অমর বীরদের সাথে। আর এটাকেই লক্ষ্য করে, কানিজ ফাতিমা বলেছেন-
উদার হওয়ার জ্ঞান দিয়েছে আমায়
জ্ঞান সাগরে ভাসি কে বলো থামায়!
পৃথিবীটা হাতের মুঠোয় এনে দেয় বই
এমন বন্ধু আর পাবো আমি কই!
– অক্ষরবৃত্ত