ভূত আছে, ভূত নেই এই তর্কে নাইবা গেলাম। ভূতের গল্প শুনতে ভালোবাসে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া ভার। দাদা-দাদি, নানা-নানি, মামা-চাচার গলা জড়িয়ে গল্প শুনতে কার না ভালো লাগে। ভূতের গল্প হলে তো কথাই নেই। গল্প শুনতে শুনতে গা ছমছম করে ওঠে। গল্পে যত রহস্য, যত ভয়ংকর ততই আনন্দ। এই আনন্দ শিশুর মনোজগতকে উজ্জীবিত করে, শিশুর কল্পনা শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। কল্পনা বিলাসি মন নতুন কিছু সৃষ্টির দ্বার উন্মোচন করে। কল্পনার জগতে ভেসে বেড়ানোর যে আনন্দ, সে আনন্দ থেকে শিশুদের বঞ্চিত করতে চান না বলেই লেখকগন যুগে যুগে ভূত-রাক্ষস, দৈত্য-দানব নিয়ে গল্পকথা রচনা করেছেন, করছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন বলেই আমার বিশ্বাস। তার ধারাবাহিকতায় গল্পকার সালাম সৌরভ তিনটি ভূতের গল্প দিয়ে সাজিয়েছেন তাঁর ‘ভূতের গলি’ গ্রন্থটি। সালাম সৌরভ শিশুদের শিক্ষক হওয়ায় শিশু মনস্তত্ব উপলব্ধি করেই সহজ ভাষায় গল্পগুলো রচনা করেছেন। এটি লেখকের পঞ্চম গ্রন্থ। বইটি পাঠে ছোট বড় সকলেই আনন্দ পাবে বলেই আমার বিশ্বাস। বইটির বহুল প্রচার কামনা করছি। ভূতের জয় হোক।
ওবায়দুল সমীর
শিশুসাহিত্যিক ও গীতিকার