কুররাতু আইয়ুন: যে জীবন জুড়ায় নয়ন
পাঠ্যপুস্তকে আমাদের শুধু ভাল কেরানী, পুঁজিবাদের ভাল সেবক হওয়া শেখায়। যেন জীবনে চাকরগিরির ক্যারিয়ারই সব। টাকা কামানোই একমাত্র উদ্দেশ্য। বেশি বেশি বস্তু কেনাই কামিয়াবি। ভেবে দেখেন চাকরি যেমন একটা মেজর ইভেন্ট আমাদের জীবনে, বিয়েও কি একটা মেজর ইভেন্ট না? সন্তান জন্ম দেয়া এবং পালন করাও কি একটা মেজর টাস্ক নয় জীবনের? তাহলে আমাদের প্রচলিত শিক্ষা যদি ‘ভবিষ্যত জীবনের জন্য আমাদের গড়ে তোলা’রই দাবি করে, তবে ভালো চাকুরের সাথে ভালো স্বামী/ভালো বাবা/ ভালো সন্তান হবার সিলেবাস কোথায়? তার মানে ওরা আপনার সুন্দর জীবন চায় না, চায় শুধু আপনার সু্ন্দর সার্ভিসটুকু। ষাট বছর হলে ছিবড়ে ফেলে দেবে ছুঁড়ে, ব্যস। ওদের কিচ্ছু যায় আসে না, যে আপনার ছেলে মানুষ হল কি না। আপনার ডিভোর্সে ওদের কিসসু আসে যায় না। আপনি আপনার বৃদ্ধা মা-কে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠালেও ওরা দেখবে না। স্রেফ আপনার কাজ নেবার জন্যই এত আয়োজন, এতকিছু। এই বইটি আমাদের সিলেবাসের সেই অসূ্র্যম্পশ্যা অংশটুকু নিয়েই, যেগুলো কখনও আলোর মুখ দেখেনি। কুররাতু আইয়ুন – ২ : যে জীবন জুড়ায় মনন
জীবন এক বিক্ষুব্ধ সাগর। উত্থান-পতনের প্যারাডক্সসংকুল এক যাত্রা। পজেটিভ-নেগেটিভ অনুভূতির মিশেলে এক পুঁতির মালা। পজেটিভ ফিলিংসগুলো যেমন আপনাকে সতেজ করে, নেগেটিভগুলো আপনাকে দমিয়ে দেয়, হতাশ করে, রাগিয়ে দেয়। কারও কথা, কারও কমেন্ট, কারও সাথে ঝগড়া, কারও মূর্খতা, কারও হঠকারিতা, কারও প্রতারণা, হয়রানি, অপেক্ষার প্রহর, কিছু না- পাওয়ার বেদনা—এগুলো আপনার ভেতর জমে। একটা নেগেটিভ অনুভূতি, যেন বুক চেপে আসে, যেন মনটা তিতে-তিতে। এই অনুভূতিটা আমাদের ভেতর জমে। জমতেই থাকে। পরে একটি মানসিক বা শারীরিক ফলাফল হিসেবে প্রকাশ পায়। জীবনযাত্রায় এই শত্রুগুলোর সাথে লড়াইয়ের জন্য, লড়াইয়ে জেতার জন্য এবং তিতকুটে মনকে ফ্রেশনেস দেবার জন্য আল্লাহ আমাদেরকে কয়েকটি ঝাঁটা দিয়েছেন। এগুলো দিয়ে সব তিক্ততাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দিলেই জীবনে পাবেন তৃপ্তি প্রশান্তি স্বস্তি স্থিরতা। দুনিয়াতেও পাবেন ‘কুররাতু আইয়ুন’— যে জীবন জুড়ায় নয়ন, যে জীবন জুড়ায় মনন।