“বাংলাদেশের মেলা-পার্বণ ২” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:
ধনী-গরিব, নীতিশ-বৈশ্য, কালাে-ধলাে,। ছােট-বড় সকল শ্রেণি-পেশা-ভেদ- এর এক। আশ্চর্য সঙ্গমস্থল মেলা। কখনাে। বট-পাকুড়ের তলে, কখনাে গ্রাম্য হাটে, কখনাে সুবিস্তৃত মাঠে, কখনাে ফসলের। শেষে পরিত্যক্ত মাঠে বসে লােকায়ত মেলা। জগতের সর্বত্র মেলার রয়েছে। বৈচিত্র্যময় পরিচয়। বাংলাদেশে মেলা গ্রাম্য। নিস্তরঙ্গ জীবনে আনন্দের জোয়ার নিয়ে। আসে। মেলা প্রচলনের কারণগুলাের বিভিন্ন। মতের মধ্যে একটি এবং সম্ভাব্য কারণ জমিদার মহাজনদের দ্বারা মেলা প্রচলিত। হয়েছে। তাহলে ধরে নেওয়া যায় মেলা। প্রচলনের বয়স প্রায় তিনশ হতে চারশ। বছর। বিভিন্ন কারণে মেলা আয়ােজিত হয়ে। থাকে, এর মধ্যে ধর্মীয়, প্রাকৃতিক, ‘সামাজিক ও বাণিজ্যিকভাবে আরােপিত ।। সেই অর্থে বিবাহ অনুষ্ঠান, মুসলমানি, মুখে। ভাত, হাতেখড়ি এসবও মেলার। আওতাভুক্ত। দেশে নববর্ষকে উপলক্ষ্য করে। প্রায় আড়াইশ জায়গায় মেলা আয়ােজিত হয়ে থাকে। আর দুর্গাপূজায় প্রায় ২ শত।