নুরুল ইসলাম বাবুল পাথারের মানুষ। পাথারের উদার প্রকৃতির ভেতর দিয়ে তার বেড়ে ওঠা। পাথারের প্রকৃতি-পরিবেশ এখানকার মানুষগুলোকে কম-বেশি ভাবুক করে তোলে। আর তাই বাবুলের মতো একজন জীবন সন্ধানী মানুষ জীবন নিয়ে ভাববে, এতে বিস্মিত হবার কিছু নেই। প্রকৃতির মধ্য দিয়ে সে একটু-একটু করে নিজেকে চিনতে শুরু করেছিল। সেই কৈশর-যৌবনের শুরু থেকেই। যার স্বাক্ষর রেখেছিল তার শিশুতোষ ছড়া ও গল্পের মধ্য দিয়ে। কবিতার ভেতর দিয়ে তার সেই ভাবনারই প্রসারণ ঘটেছে। এই বইয়ের কবিতাগুলোর পরতে-পরতে আছে তার স্বরূপ অন্বেষার চেষ্টা। তার কবিসত্তায় প্রকৃতিকে কতটা ধারণ করেছে তা অনুভব করা যায়। তার আন্তরিক আর স্বত:স্ফুর্ত উচ্চারণ আমাকে শুধু মুগ্ধই করে না, তার এ সমস্ত কবিতার ভেতর দিয়ে আমি যেন নিজের অবস্থানকেও অনুভব করতে পারি। নিজেকে জানা আর নিজের অবস্থানকে জানাবার চাইতে আর কিবা বড় হতে পারে। কবিগুরু বলেছিলেন, “আকাশভরা তারার মেলা, বিশ্বভরা প্রাণ; তাহার মাঝে আমি পেয়েছি মোর স্থান।” হ্যাঁ এই অবস্থানকে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধির ক্ষমতা বাবুলের আছে। এক কথায় আমি মুগ্ধ।
অধ্যাপক আবদুল মান্নান সরকার কথাসাহিত্যিক