“প্রফেট” বইয়ের পেছনের কভারে লেখা:
‘তােমাদের সুখ তােমাদের দুঃখের মুখােশহীন রূপ’
‘সম্পর্কগুলাের মাঝে কিছু ফাকা জায়গা রেখাে, যাতে স্বর্গীয় হাওয়া তােমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের মাঝে দুলুনি দেয় পরস্পরকে। ভালােবাসাে কিন্তু ভালােবাসাকে শৃঙ্খলে বেঁধে। বরং তােমাদের দুই হৃদয়ের মধ্যবর্তী সৈকতে ভালােবাসাকে প্রবাহিত সাগরের মতাে বইতে দাও
‘সৌন্দর্য চিরবসন্তের বাগানের উড়তে থাকা। একঝাক পরি। সৌন্দর্য আয়নায় স্থিরভাবে।
নিজের দিকে তাকিয়ে থাকা মহাকাল। তােমরাই সেই আয়না আর তােমরাই সেই মহাকাল।br প্রয়ােজনের যে ভয় তােমাদের মাঝে কাজ করে, ভেবে দেখাে সেটাও আরেক প্রয়ােজন। তােমাদের কূপ যখন পুর্ণ, তখন তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা কি সেই তৃষ্ণা নয়, যা কখনাে মেটানাে যায় না?
‘আইন প্রয়ােগে যেমন তােমাদের উৎসাহ, এর চেয়ে বেশি তােমরা আনন্দিত হও আইন ভাঙার কাজে ‘নিহত ব্যক্তি আপন হত্যার দায় থেকে মুক্ত নয়, লুট হয়ে যাওয়া মানুষও মুক্ত নয় লুণ্ঠনের দায় থেকে।
খারাপ মানুষের খারাপির দায় থেকে মুক্ত নয় ন্যায়বান সৎ মানুষ, দুবৃত্তের নােংরামাে ভরে থাকে নিষ্কলুষের হাতে
‘গাছের কোনাে একটি পাতা যেমন বিবর্ণ হতে পারে না সমগ্র গাছের নীরব সম্মতি ছাড়া, তেমনি তােমাদের সম্মিলিত গােপন ইচ্ছে ব্যতীত অপরাধী অপরাধ করতে পারে না।