“যুদ্ধের ময়দান থেকে মেজর জিয়ার পলায়ন” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
মেজর জিয়া স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যােগদান করেননি। একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যেই পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ সুকৌশলে মেজর জিয়াকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল। পাকিস্তান ভেবেছিল, মুক্তিযুদ্ধে তাদের হার হলে, পরবর্তী সময়ে সে হারের প্রতিশােধ নিতে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে তাদের একজন নিজস্ব এজেন্ট থাকা দরকার। এজেন্টটি হতে হবে বাঙালি এবং পাকিস্তানের প্রতি নিখাদ অনুগত। মেজর জিয়া ছিলেন সবদিক থেকেই ওই পদের উপযুক্ত। আমার উপরের দাবি অনেকের কাছে অদ্ভুত মনে হতে পারে। কিন্তু ইতিহাস কখনাে অদ্ভুত কথা বলে না। ইতিহাস সত্যনিষ্ঠ। আমি সত্যনিষ্ঠ সেই ইতিহাসকেই এখানে হাজির করেছি। ইতিহাস সাক্ষি দিচ্ছে, পুরাে নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধে মেজর জিয়া তাঁর প্রিয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক মুহর্তের জন্যও কোথাও অস্ত্র ধরেননি। একটি গুলিও ছুড়েননি। বরং যখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রকৃত যুদ্ধ শুরুর সময় হয়েছে, ঠিক তখনই সুকৌশলে সে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে অন্যদিকে, অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন তিনি। যুদ্ধ করেছে বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইপিআর-এর সেনা অফিসাররা। পরে তাদের সেই কৃতিত্ব ছিনতাই করেছেন তিনি-অবলীলায়। আমার মতাে বেসামরিক লােক- সে সময়ে যাঁরা মেজর জিয়ার কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করেছেন তাঁরা ছাড়াও সেনাবাহিনীতে তাঁর সহযােদ্ধারাও আমার উপরের দাবিকে সমর্থন করে প্রামাণ্য দলিল রেখে গেছেন ইতিহাসের পাতায়, যা এখানে উপস্থাপিত হয়েছে যথাযথভাবে।