যুদ্ধের ময়দান থেকে মেজর জিয়ার পলায়ন

৳ 180.00

লেখক সিরু বাঙালি
প্রকাশক ঝুমঝুমি প্রকাশন
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849229766
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৭৯
সংস্কার 1st Published, 2020
দেশ বাংলাদেশ

“যুদ্ধের ময়দান থেকে মেজর জিয়ার পলায়ন” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
মেজর জিয়া স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যােগদান করেননি। একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যেই পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ সুকৌশলে মেজর জিয়াকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল। পাকিস্তান ভেবেছিল, মুক্তিযুদ্ধে তাদের হার হলে, পরবর্তী সময়ে সে হারের প্রতিশােধ নিতে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে তাদের একজন নিজস্ব এজেন্ট থাকা দরকার। এজেন্টটি হতে হবে বাঙালি এবং পাকিস্তানের প্রতি নিখাদ অনুগত। মেজর জিয়া ছিলেন সবদিক থেকেই ওই পদের উপযুক্ত। আমার উপরের দাবি অনেকের কাছে অদ্ভুত মনে হতে পারে। কিন্তু ইতিহাস কখনাে অদ্ভুত কথা বলে না। ইতিহাস সত্যনিষ্ঠ। আমি সত্যনিষ্ঠ সেই ইতিহাসকেই এখানে হাজির করেছি। ইতিহাস সাক্ষি দিচ্ছে, পুরাে নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধে মেজর জিয়া তাঁর প্রিয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক মুহর্তের জন্যও কোথাও অস্ত্র ধরেননি। একটি গুলিও ছুড়েননি। বরং যখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রকৃত যুদ্ধ শুরুর সময় হয়েছে, ঠিক তখনই সুকৌশলে সে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে অন্যদিকে, অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন তিনি। যুদ্ধ করেছে বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইপিআর-এর সেনা অফিসাররা। পরে তাদের সেই কৃতিত্ব ছিনতাই করেছেন তিনি-অবলীলায়। আমার মতাে বেসামরিক লােক- সে সময়ে যাঁরা মেজর জিয়ার কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করেছেন তাঁরা ছাড়াও সেনাবাহিনীতে তাঁর সহযােদ্ধারাও আমার উপরের দাবিকে সমর্থন করে প্রামাণ্য দলিল রেখে গেছেন ইতিহাসের পাতায়, যা এখানে উপস্থাপিত হয়েছে যথাযথভাবে।

মুক্তিযােদ্ধা সিরু বাঙালি ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ৬ জুলাই চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ ৬ দফা বাস্তবায়নের আন্দোলনে ৭ জুন ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়ে মােট ৬৯ দিন কারাভােগ করেন। তারপর মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত সকল আন্দোলনে তাঁর ছিল সরব উপস্থিতি। ৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনের কাজে লেগে পড়েন। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে সরাসরি যুদ্ধে যােগ দেন এবং দেশ শত্রুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বৃহত্তর পটিয়া অঞ্চলে গেরিলা কমাণ্ডার হিসেবে অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শন করেন। পাকিস্তানি হায়েনা সৈন্যদের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির গৌরবােজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস দেশবাসীকে জানানাের জন্য তিনি রাইফেল ছেড়ে কলম হাতে তুলে নিয়েছিলেন ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে। রণাঙ্গনের সেই অগ্নিঝরা রাইফেলই যেন তার হাতে কলম হয়ে ফিরে আসে অসম্ভব সাহসিকতায়।। বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য সিরু বাঙালি একজন সংগঠক হিসেবে অনেকগুলাে সামাজিক ও সাহিত্য সংগঠনের সাথে যুক্ত। উল্লেখযােগ্য রচনাবলীর মধ্যে আছে-বাঙাল কেন যুদ্ধে গেল, আমার যুদ্ধ আমার একাত্তর। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কিশাের উপন্যাস-আল্লুর জন্য যুদ্ধ, মাগাে আমরা লড়তে জানি, অথৈ পেয়েছে পতাকা, রহস্যময় প্ল্যানেটে একুশ, অপারেশন বিমান ঘাঁটি, যুদ্ধশিশুর যুদ্ধ জয়, একাত্তরের সূর্যসেনা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কিশাের গল্প-স্বাধীনতার গল্প শােনাে, ছােটদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প, মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ বীর, গল্পে গল্পে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের কিশাের উপন্যাসসমগ্র, একুশ ও মুক্তিযুদ্ধের গল্প, মুক্তিযুদ্ধের কিশাের গল্পসমগ্র। রূপকথা ও অন্যান্য রচনা-ছােটদের আরব্য রজনীর সেরা গল্প, হায়েনা ও বনের রাজা, বুদ্ধিমান খরগােশ, গাধার বীরত্ব, হায়েনার মুখে সজারু, একদিনের বাদশাহ, লুদমিলার নসিব, শিয়াল যখন বন্ধু, আকাশ-জয়ের গল্প, কানা রাজকুমার, ফেরারী মন। জীবনীগ্রন্থ-ছােটদের মহাত্মা গান্ধী, ছােটদের নেলসন ম্যান্ডেলা। সম্পাদনা-উপেন্দ্রকিশাের রায়চৌধুরীর নির্বাচিত গল্প সংকলন ‘বাঘ শিয়ালের গল্প', ছােটদের বিজ্ঞানপিডিয়া, ছােটদের নলেজ ব্যাংক। লেখালেখির জন্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এই মহান মুক্তিযােদ্ধা লেখক।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ