“সময়ের স্পন্দন” বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা
বড় বড় দালান, ভেতরে বাইরে দুটো বড় মাঠ, সিঁড়ি বাঁধানাে বিশাল পুকুর রূপপুর মেমােরিয়াল হাইস্কুলে কোনাে পরিবর্তন নেই। আগের মতােই আছে। শুধু বদলে গিয়েছে স্কুলটার সাথে ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে পড়া পাঁচটি জীবন। এই বদলের শুরুটা হয়েছে সেই বর্ষায় রিমঝিম সকাল থেকে। এই বদলটা অস্তিত্ত্ব পেয়েছে একটি মানুষকে কেন্দ্র করে। এই বদলটা অনুভূত হয়েছে ওই পাঁচটি জীবনের অন্তরেই।
মুনা, শৈলী, লিরা, সমাপ্তি আর রজত-পাঁচটা জীবন আগের চেয়ে ভিন্ন গতিতে বয়ে যাচ্ছে এখন। এই ভিন্ন গতিটা বােধ হয় সেই মেঘে ঢাকা সকালেই শুরু হয়েছে, যদিও ওরা অনুভব করতে পেরেছে খানিক পরে, যখন পাঁচজনই একটি অদৃশ্য সুতাের টানে পড়েছে। বুঝতে পেরেছে, আটকে পড়েছে ওরা, একে অপরের মায়াজালে। এই সুতাের বাঁধন কেমন? অনড়? নাকি নিষ্ঠুর জীবনের ছলনা সময়ের সাথে সাথে এই বন্ধনকেও মৃদুতর করে তুলবে?