“প্যারাডাইজ লস্ট” বইয়ের পেছনের কভারে লেখা:
মিল্টন তাঁর কালজয়ী মহাকাব্য ‘প্যারাডাইস লস্ট’ রচনা শুরু করেন ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দে এবং তা শেষ করেন ১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দে। দ্বাদশ সর্গে বিভক্ত এই কাব্যটিকে আখ্যানকাব্য না বলে রূপককাব্য বলাই সঙ্গত।
এই কাব্যের প্রধান প্রধান চরিত্রগুলাে হলাে ঈশ্বর ও দেবদূতগণ, শয়তানরাজ অধঃপতিত বিদ্রোহী দেবদূতগণ এবং মানবজাতির আদি পিতা, মাতা আদম ও ঈভ অর্থাৎ আদম ও হাওয়া (আ.)। স্বর্গ, স্বর্গোদ্যান, ইর্ডেন ও মর্ত্যলােক জুড়ে এই কাব্যের পটভূমি বিস্তৃত এবং এর বিষয়বস্তু হলাে শয়তানের প্রলােভনে ও প্ররােচনায় প্রথমে ইভের ও পরে আদমের নিষিদ্ধ ফল ভক্ষণ, ঈশ্বরের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনজনিত পাপ,তাদের পাপচেতনা ও অনুশােচনা অবশেষে মর্ত্যলােকে তাদের পুনর্বাসন।
‘প্যারাডাইজ লস্ট মহাকাব্যের দ্বারা জন মিল্টন মূলত স্বর্গে পৃথিবীর প্রথম মানব-মানবী অর্থাৎ প্রথম নবী হযরত আদম (আ.) এবং মা হাওয়া (আ.)-এর কাহিনি ও শয়তানের প্ররােচনায় ঈশ্বরের আদেশ লঙ্ঘন অতঃপর স্বর্গোচ্যুত হয়ে মর্তে পুনর্বাসন এবং শয়তানের চ্যালেঞ্জ মােকাবেলায় আদমের অনুশােচনা প্রকাশ।
হারানাে স্বর্গে প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতি ও মানব সত্তার সর্বোত্তম বিকাশে ঈশ্বরের অনুগ্রহপ্রাপ্তির নানা বিষয় ও চরিত্র নিয়ে দ্বাদশ স্বর্গে বিভক্ত আখ্যানকাব্য বা রূপক কাহিনীর বর্ণনা দিয়েছেন। যা পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।