“আলো প্রেম নির্জনতা” বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা
করােনায় বিপর্যস্ত সময়ে নিরবচ্ছিন্ন গৃহবন্দি জীবন থেকে মুক্তি খোঁজে রায়হান। মফস্বল শহরের ক্ষুদ্র পরিসরে প্রতি মুহুর্তে মিডিয়া থেকে পাওয়া মৃত্যু, জরা, আতঙ্কের খবর ক্ষণিকের জন্যে ওকে হতাশ, অসহায় করলেও সাধারণ মানুষের ঘুরে দাঁড়ানাে প্রত্যক্ষে অবাক হয় ও। ওদের জীবন, কর্মের মধ্য দিয়ে শঙ্কা থেকে সাহস খুঁজে পায়। মানব সভ্যতার ইতিহাসের আরেকটি অধ্যায়ের অংশ হতে পেরে নিজের অস্তিত্বে নতুন রক্তপ্রবাহের শব্দও শুনতে পায় যেন। ক্রান্তিকালের অনুভূতি বরাবরই বড় তীক্ষ হয়। যেমন আলব্যের কামু বলেছেন, “গভীরতম শীতেই আমি আমার ভেতরের অজেয় গ্রীষ্মকালকে আবিষ্কার করি”। জীবনের পড়ন্ত বেলায় এই বাস্তবতাকে দেখার গল্প বর্তমান ও নিকট অতীতের বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত ঘটনার সাক্ষী।