কবিতাগুলো কলজে খুবলে বের হয়েছে। মাকড়শার প্রসবপদ্ধতি যেমন- বুক বিদীর্ণ করে বাচ্চার নতুন অবয়ব বের হয়ে আসে। কবি তার হৃদয়ের অদৃশ্যের পুরোটা হাতে নেন এরপর কবিতার হৃদয়ে তা প্রবিষ্ট করেন। আর এভাবেই শব্দের ভেতরটা নড়ে স্পন্দনে- পবিত্রতায় আর পারস্পরিক বোঝাপড়ায় দেহ পায় কবিতা। ধ্রুব ও শাশ্বত লেনদেন চলে কবি ও কবিতার মাঝে। এই অদৃশ্য লেনদেনে কোন মুচলেকার কারবার নেই; বের হয়ে বসে যায় শিল্পের মত কবিতা-কলা। কত নরম কোকিলা কণ্ঠ তার, কেমন সোনালি অক্ষর-শরীর!