“মোহান্ধ পরিব্রাজক” বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা
একজন কবি, একজন শিল্পী। নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে একদিন নিজেদের আবিষ্কার করে রাজধানী ঢাকা শহরে ওরা বসবাস করছে। জন্মসূত্রে দুজনই চট্টলাবাসী। কাসিন্দুপুরের চিত্রকর অনু সেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে এসেছে রাজধানীতে। জীবনকে উপভােগ করে করে এক সময় খুঁজে পায় সুলতানের কৃষককে। ছুঁতে চায় মাতিস, পিকাসাে, জয়নুল। সবাই অনু সেনকে চেনে। প্রতিশ্রুতিশীল চিত্রকর হিসেবে পরিচিত। এ সময় জুটে যায় কবি খালিদ চৌধুরী। ও এসেছে কক্সবাজার থেকে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে কিলিং মিশনে জড়িয়ে দু বছর জেল খেটে সােজা ঢাকা শহরে। তরুণ কবি। কলেজে পড়াকালীন বিতর্কিত কিছু কবিতা লিখে দেশজোড়া খ্যাতি অর্জন। খালিদ চৌধুরী অন্যধারার কবি। যে কবিতায় মগ্নতা র্যাবাে’র ধোঁয়াশা সন্ধ্যেবেলা, রিলকের গােলাপ, রবীবাবুর জীবনদেবতা, নাজিমের উদাত্ত কণ্ঠস্বর, নজরুলের প্রেম। মােহান্ধ লিপ্সা এ দুজনকে ফেলে দিয়েছে অলীক ভুবনে। যেখান থেকে মানুষের মােহমুক্তির সম্ভাবনা খুব কম। বােহেমিয়ান শিল্পী-কবির যুগল অবস্থান থেকে নির্মিত হয় জীবন এবং শিল্পের বহুমাত্রিক বারান্দা। কবির আরাধ্য বােদলেয়ার সঙ্গে ক্যাফেতে বসে আছে। কাসিন্দুপুরের মেঘলা আকাশের ছবি আঁকতে অনু সেন কর্ণফুলীর মােহনায় ধ্যানস্ত বকের মতাে বসে থাকে। এই নিয়ে কবি ও কথাশিল্পী আলমগীর রেজা চৌধুরী’র ‘মােহান্ধ পরিব্রাজক’।