শ্রেষ্ঠ কবিতা

৳ 500.00

লেখক দুখু বাঙাল
প্রকাশক অনিন্দ্য প্রকাশ
আইএসবিএন
(ISBN)
978 984 95102 2 2
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ১৬০
সংস্কার 1st Published, 2020
দেশ বাংলাদেশ

কবিতা সংজ্ঞায়নের বস্তু নয়, যা একবার লেখা হয়ে গেলে নিজেই ঘোষণা করে নিজের অনিবার্যতা। উষালগ্নে সৃষ্টিশূন্যতায় কবিতাই ছিল একমাত্র মহৎ সৃষ্টি। কবিতায় শুদ্ধতা বলে কিছু নেই। আপেল কিংবা একনলা সুপারিগাছ বড়জোর পদ্য; কাঁঠাল বা এবড়োখেবড়ো হিজল বৃক্ষ চিরকালই কবিতা। কবিতা নিয়ে এই হলো সত্তর দশকের কবি দুখু বাঙালের জড়তাহীন বক্তব্য। ‘আমার কবিতারা মধ্যরাতে কড়ানাড়া আলোর বিমের মতো অতিথি মহান’। আর এই হলো আপন কবিতা নিয়ে ভিন্ন স্বাদ ও মাত্রার দাবিদার দুখু বাঙালের আত্মবিশ্বাসের নিজস্ব বয়ান। স্বীয় কাব্যভাষায় রচিত এ বইয়ের কবিতাগুলো যথার্থই স্বকাল ও ভাবীকালের উদ্দেশে তাঁর ‘আপন মনের নিজস্ব প্রতিনিধি’। তাঁর কবিতায় আছে প্রেম প্রকৃতি প্রার্থনা, আছে মুক্তিযুদ্ধ স্বদেশ স্বাধীনতা; আর আছে দেশভাগের বেদনা ও অখ- জাতিসত্তার আর্তনাদ। তাঁর কবিতার সরণিতে বেশি বেশি উজ্জ্বল হয়ে আছে প্যালেস্টাইনসহ স্বাধীনতাকামী ও অধিকারবঞ্চিত সাদা-কালো মানুষের ভিড়। তাঁর ক্ষুদ্র অবয়বের কবিতাও সামুদ্রিক গভীরতায় অতলান্তিক। সাধারণের কাছে কবিমাত্রেই নিরীহ আর অকেজো এক প্রাণী। কিন্তু দুখু বাঙালের কবিতা পড়লে মনে হয় তিনি নিজেই আমাদের নিয়ে যাচ্ছেন মানুষে মানুষে ভেদাভেদহীন এক উৎসবমুখর মিলনের প্রশস্ত সড়কে। জনারণ্যে একা হয়েও তিনি গড়ে তোলেন তোষামোদহীন এক সাহসী ও বিরল ব্যক্তিত্ব; যা রাজ্য রাজত্ব বা সিংহাসন ত্যাগেও একদমই নির্বিকার। আলাদা স্বভাবের কবি দুখু বাঙালের ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ প্রকাশের মাধ্যমে পাঠকের অনেকদিনের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

জন্ম ৩০ জুন ১৯৫৭ পটুয়াখালী জেলার ছোট ডালিমা গ্রামে। পিতৃপ্রদত্ত নাম মুহাম্মদ ইছহাক। মা আছিয়া খাতুন, বাবা আবদুর রশিদ হাওলাদার। দাদির আদুরে নাম দুখু। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া গ্রামের স্কুলে। নাজিরপুর- ছোট ডালিমা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় (পূর্বে যা ছিল একটি মাদ্রাসা)। ১৯৬৯-এর ফেব্রুয়ারি। এইটে পড়াকালীন কতিপয় সহপাঠী ও বন্ধুদের নিয়ে তাঁর নেতৃত্বে একরাতের মধ্যেই স্কুলমাঠে গড়ে ওঠে শহিদমিনার। এই সাহসী ঘটনার জের ধরে ঘটে তাঁর স্কুলবদল। ভর্তি হন বাউফল হাইস্কুলে। এখান থেকেই ১৯৭২ এ (দ্বিতীয় ব্যাচ) তাঁর এসএসসি পরীক্ষায় পাস। ১৯৭৪ এ বাউফল কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৭৬ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিলাভ। মহান স্বাধীনতাঁর যুদ্ধের কলমসৈনিক এবং মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালের মার্চে ছাত্রনেতা আবুল কালাম খান ও থানা পুলিশের সহায়তায় বাউফল পাবলিক ফিল্ডে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ। একাত্তরের মে মাসে বরিশাল মেডিকেল কলেজে ভর্তি অসুস্থ বাবাকে দেখতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে আটক এবং নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনদিন পর মুক্ত। ১৯৭৪-এর এপ্রিলে বঙ্গবন্ধু সরকারের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সময় তিনি সেনাবাহিনীর হাতে বাউফলে গ্রেফতাঁর হয়ে পাঁচদিন পর মুক্ত হন পটুয়াখালী থেকে। স্কুলজীবন থেকেই ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত; ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের প্রথম সারির নেতা। ১৯৮১ সনে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে সরকারি চাকরিতে যোগদান। ১৯৮৭ সালে পদোন্নতি। ২০০৮-এর জুনে মাগুরা জেলায় কর্মরত থাকাকালীন বিভাগীয় এক বৈঠকে ক্রসফায়ার ও কমিউনিটি পুলিশিং নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে বক্তব্য রাখার জের ধরে চাকরি ছেড়ে স্বেচ্ছাঅবসরগ্রহণ। বর্তমান পেশা লেখালেখি। লেখক নামেই অধিক পরিচিত। কলেজজীবনে বাউফলের কাচারি বাড়ির নাটমন্দিরে মঞ্চস্থ হয় তাঁর ‘আজব সংলাপ’ একাঙ্কিকা এবং ‘বিমূঢ় জিজ্ঞাসা’ নাটক। ছেলেবেলা থেকে বিভিন্ন পত্রিকার ছোটদের আসর ও শিশুতোষ পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ। সত্তর দশকের এই কবি কবিতায় ভিন্ন স্বাদ ও মাত্রার দাবিদার।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ