ভোগীয় সময়ের পরিমাণ আজ প্রায় দুইমাস পেরিয়ে আরও কয়েকদিন অতিবাহিত হলো তমিস্রার। মানুষ নামের পশুটা প্রতিনিয়ত তাঁর দেহ ভোগ করে তারই শরীরের অংশ তমিস্রার পেটে দিয়েছে। ভাবতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। শিউরে উঠে তার শরীর। এ বয়সে এসব কী থেকে কী হচ্ছে!
তবুও আনমনা হয়ে বহন করে নিতে হয়। এমন ভাবাতে প্রায় ও হতভাগা হয় তমিস্রা। কখনো জ্ঞান হারায়, আবারো ফিরে পায়। দিন তো দিনের গতিতেই পার হচ্ছে। সাথে তমিস্রারও সময় নিকটে আসতে চলছে। কাউকে বলতেও পারছে না। আবার সয়ে যাওয়ারই নয়। মারা যাওয়াটাই একেবারে শেষ ডিসিশন এছাড়া তো আর কিছুই করার নেই!
মুখ খুলে চাইলেও বলতে পারবে না,
‘‘আমার পেটে তোমার সন্তান’’!
এমন মানুষ রূপিটার দিকে তাকাতেও ইচ্ছে করে না। আর এসব বলা না হয় দূরে থাক। প্রয়োজনে মারা যেতেই বাধ্য তমিস্রা। আর মারা যাওয়াটাই হবে তার জন্য সব দুঃখ কর্মের ফল। এসেছিল গ্রহে এক দুঃখিনী হয়ে। এখন আরেকটা দুঃখিনীকে জন্ম দিয়ে ওর অভিশাপ কে-ই বা বহন করবে! এর থেকে পেটের সন্তানকে সাথে নিয়ে মারা যাওয়াই ভাল।