আরেক বঙ্গবন্ধু ওরা আত্না হয়ে একদিন শাহবাগ চত্ত্বরে ফিরে আসবে কৃষ্ণচূড়ার মতো বিনা সুভাসে টকটকে লাল হয়ে। যেদিন তোমরা স্লোগান কন্যা আশার হাতটা ভেঙে দিলে? সেদিন নুসরাতেরা তার হাত ধরে টেনে তুলে বলে, প্রতিবাদ কর যদিও জানিস একদিন আসতে হবে আমাদের দলে। তারা যেদিন দলবদ্ধ হয়ে ফিরে আসবে, তাদের রক্ত দিয়ে তারা সভ্যতা এঁকে যাবে। তোমরা যে মায়ের বুক খালি করলে, সে মা এক প্রতিবাদী সন্তান জন্ম দিয়েছিলো! তোমরা একজন প্রতিবাদীর মাংস কেটে নিলে তার থেকে একটা আন্দোলন সৃষ্টি হয়, তার থেকে কতো কতো প্রতিবাদী জন্ম নেয় গুনতে পারো? তোমরা যাদের গোপনে হত্যা করো? তারা এক এক জন বঙ্গবন্ধু, তারা একদিন দ্বিতীয় আম্পান হয়ে আঘাত হানবে সেদিন কোনো আশ্রয়কেন্দ্র থাকবে না। তাদের কণ্ঠস্বর তোমাদের বর্বরতাকে গুড়িয়ে দিবে। তখন তোমরা এক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলে, তার প্রতিবাদে আরো দশ বঙ্গবন্ধুর জন্ম হবে। কবিতাটি “একদিন গোটা দেশটাকে খাবো” কাব্যগ্রন্থ থেকে। বইয়ের নাম দেখে বুঝতেই পারছেন বইয়ের ভেতর ঠিক কি কি থাকতে পারে। হ্যাঁ! একদিন আমি এই গোটা দেশটাকে গিলে খাওয়ার শপথ নিয়েছি। এই দেশের বর্বরতা, শাসন, আইন যারা গুড়িয়ে ফেলে বুটের তলায়! তাদের সহ গোটা মানচিত্র গিলে খাবো আমরা। আমরা যারা আইন, শাসনব্যবস্থা দ্বারা মানুষ কে একটা সুন্দর, সুষ্ঠু জীবন উপহার দিতে চেয়েছিলাম। যে দেশটায় অন্যায় অত্যাচারকারীরা হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়, আর শিল্পীর স্থান হয় তিন দেয়ালের সেলের ভেতর, যে দেশে বিচারব্যবস্থা একটা ফ্যাশন মাত্র, যে দেশে একটা স্পেশাল চাইল্ডকে নিয়ে হেলা করা হয়, যে দেশে প্রতিবন্ধী একটা গালি, যে দেশে বিচার চাইতে যাওয়া নারীটার পদবি উগ্র নারীবাদী, যে দেশে আন্দোলনের মাঝে ও তুলে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। যে দেশে বাংলা শিক্ষক, মেকআপ আর্টিস্ট, ক্লাসিকাল নৃত্য শিল্পী একজন পুরুষ হতে পারে না। যে দেশে শিল্প নির্ভর করে জেন্ডারের উপর, যে দেশে ধর্ষণ এর মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকে, কিন্তু প্রকাশ্যে চুমু মারাত্মক অপরাধ। যে দেশ তৃতীয় শ্রেণির লিঙ্গদের জন্য অভিশাপ। সে দেশটাকে আমি গিলে খাওয়ার শপথ করেছি। এসকল কিছু গিলে খাবে কবিতা, কবিতার বাক্য, প্রত্যেকটা শব্দ৷ চলুন দলে দলে গিয়ে একদিন গোটা দেশটাকে গিলে খাই।