মানুষ স্বভাবলব্ধ ঘুমিয়েই স্বপ্ন দেখে। কিন্তু আমি ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখতে জানি আমি ঘুমালে যা দেখি, তাকে আমি স্বপ্ন নামে ডাকি না। আমি সেসব বােবা ঘুমন্ত দৃশ্যপট গুলাের নাম দিয়েছি দুঃস্বপ্ন।
আমিও স্বপ্ন দেখি, অদ্ভুতুড়ে সব স্বপ্ন দেখার ধরণটাও খানেকটা অদ্ভুতুড়ে, আমি স্বপ্ন দেখি হাঁটতে খুঁটতে! আমি হুঁটি, আমার পথ হাঁটে, ক্রমশই আমার স্বপ্নও আমার সাথেই হাঁটে। হাঁটতে হাঁটতে আমি পৌছে যাই বিষাদগ্রস্থ ভালােবাসার কাছে। ভালােবাসার কাছে গিয়ে আমিও ভালােবেসে ফেলি বিষাদময় শব্দের আর্তনাদগুলােকে। সেদিন রাতের মধ্য পহরে হাঁটতে গিয়ে আমার সাথে দেখা হয়ে যায় নার্গিসের প্রথম প্রণয়ী কাজী নজরুলের সাথে! নজরুল আমায় কেঁদে কেঁদে বলেছিলাে নার্গিসকে ছেড়ে আনার তীব্র শূণ্যতার আর্তনাদের কথা। আমি অন্তঃকর্ণ দিয়ে শুনেছি দুখু মিয়ার ভালােবাসার আর্তনাদধ্বনি এবং ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়দ্বারা লেখেছি নার্গিসকে উদ্দেশ্য লেখা দুখু মিয়ার সকল অলিখিত লেখাগুলােকে। ভাগ্যিস সেদিন হাঁটতে হাঁটতে জোসেফাইনের কথা বলেছিলাম। জোসেফাইনের সাথে কথা না বললে জানতামই না যে জোসেফাইন মেয়েটি কতটা বােকা সিন্ডারেলা। যার ঠিকানায় চিঠি আসতাে যুদ্ধের ময়দান থেকে এক দুটো চিঠি নাহ, পঁচাত্তর হাজার চিঠি। ধিয়াে পাঠক, বিশ্বাস করুন চিঠির সংখ্য পঁচাত্তর হাজার।