পুরুষ তার ভেতরে জেগে ওঠা পশুটার অল্প কিছু মুহূর্তের নোংরা তৃপ্তির জন্য যদি জানতো যে কতো প্রবল ঘৃণা হয়ে ভুক্তভোগীর অন্তরে জমে থাকে সারাজীবন, তাহলে হয়তো সে তার ভেতরের পশুটাকে দমন করতো। কিন্তু এই বোধটুকু অর্জিত হয় না বলে নিজের আত্মাকে কলুষিত করে ক্ষুদ্র কীটের থেকেও সে নিজেকে নিম্নস্তরে নামিয়ে ফেলে। তার ঘৃণ্য নোংরা ছোবলে নারীর স্বপ্নময় সুন্দর জগত আচমকা হয়ে ওঠে বিষাক্ত। নারীদের রঙ-জ্ঞান ঈর্ষণীয়।পুঁইশাকের ডাটার রঙ, কচুরিপানা ফুলের হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা রঙও তারা ধরতে পারে, অথচ তাদের আশপাশের পুরুষগুলোর রঙ তারা ধরতে পারে না সহজে। পুরুষের রঙ কি জলের মতো? জলের অবশ্য কোন রঙ নেই, কিন্তু তাতে রঙের একটা ভ্রান্তি আছে। এই ভ্রান্তির সংসারে, এই জলসংসারে নারীদেরকে তাই প্রতিনিয়ত হতে হয় ভুক্তভোগী।
ইরা এমনই সব ভুক্তভোগী নারীর প্রতিনিধি। সে কি তার ভেতর ও বাইরের সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে, নিজের ভস্মস্তূপ থেকে আবার ফিনিক্স পাখির মতো বেঁচে উঠতে পারবে? সে কি খুঁজে পাবে তার আত্মার সঙ্গী, যে তাকে বুঝতে পারবে ততোটাই যতোটা সে নিজেকে বুঝে।