‘ধামাইল’ বা ‘ধামালী গান বাংলা লােকসাহিত্যের এক স্বতন্ত্র ‘সাহসী ধারা। লােকসংগীত যদি রসের হাঁড়ি হয় তাহলে ধামালী গান হলাে রসের নদী। যে নদীতে কোনাে জল নেই তবু আছে জোয়ার ভাটা ধামালী গানে সাধারণত রাধাকৃষ্ণের প্রেম, বিরহের বিষয়গুলি ফুটে ওঠে, পাশাপাশি নারী হৃদয়ের অব্যক্ত আর্তনাদ, হাসি আনন্দগুলােও ধামালী গানে সহজভাবে প্রকাশ পায়। আর এটিই ধামাইল গানের প্রধান স্বকীয়তা। যে সমাজে নারীদের সংগীতচর্চা বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করাকে অপরাধের চোখে দেখা। হতাে সেই সমাজে ধামালী নৃত্যে নারীদের সরাসরি অংশগ্রহণ ঘটানাে একটি যুগান্তকারী সাহসী পদক্ষেপ ছিলাে। সেটি দ্ব্যর্থহীনভাবেই বলে দেয়া যায়। তাই রাধারমণ দত্ত। পুরকায়স্থ কেবল ধামাইলের জনকই ছিলেন না তিনি এবং তার অমূল্য সৃষ্টি নারীজাগরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।