আভা ও রুদ্র বছরখানেক আগে তাদের পাঁচ বছরের সম্পর্কে ইতি টেনেছিল। তাই হঠাৎ করেই রুদ্র নিখোঁজ হলে স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহভাজনদের তালিকায় আভা ও আভার কাছের মানুষেরা। তিনমাস ধরে কোন অগ্রগতি না হওয়ায় কেসটির দায়িত্ব দেয়া হয় এএসপি সায়াহ্ন চৌধুরীকে। কেসের খুঁটিনাটি সকল কিছু দেখেও কূলকিনারা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। কে থাকতে পারে রুদ্রর নিখোঁজ হবার পেছনে? আভা, আভার প্রিয় বান্ধবী মোহিনী, আভার অনুরাগী আলিফ, আগের অফিসের কলিগ ইমরান, বন্ধু রায়হান নাকি অন্য কেউ যে শুধুই রুদ্রর সাথে সম্পর্কিত? সকলেরই তো কারণটা এক জায়গায়, আর জায়গাটা ‘আভা’। আভার মনে কী চলছে? সে কি খেলছে সকলকে নিয়ে? বিচ্ছেদের পর প্রাক্তনদের মধ্যে মিশ্র অনুভূতি কাজ করে। আভা কি রুদ্রকে এখনো ভালবাসে? আভার প্রতি এএসপি সায়াহ্ন কি দুর্বল হয়ে পড়ছিল? নাকি শিকার ধরার নতুন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করছে এএসপি? কেসটা কোনদিকে যাবে শেষমেশ? সব ধরনের অনুভূতিকে সংজ্ঞায়িত করা যায় না। অসংজ্ঞায়িত অনুভূতিকেন্দ্রিক রোমান্টিক থ্রিলার”জাদুর শহরে জোনাকি”।