“মুক্তিযোদ্ধার ডায়েরী” বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ
নাটক এমন একটি মাধ্যম যা সাধারণ্যে সমকালে অভিনীত হয়। ফলে নাট্যকাররা সামাজিক প্রেক্ষাপট ও সমকালীন রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে পারেন না। সমকালের দাবি তাদের পূরণ করতে হয়। নাট্যকারের পক্ষে সমকালীন সমাজ সম্পর্কে উদাসীন থাকা খুবই দুঃসাধ্য। নাটক সমাজ বদলের হাতিয়ার। নাটকের প্রসার যে জাতির মানসিক বিকাশ সুগঠিত করতে পারে এই সত্যটুকু যদি আমরা উপলব্ধি করতে পারি তাহলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সময়ােপযােগী নাটক তৈরি হবে। আকাশ সংস্কৃতির স্থুল বিনােদনের মধ্যেও আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির নাটক সবচেয়ে বড় জায়গাটি দখল করবে এই রকম সম্ভাবনা দৃশ্যমান হয়েছে। বাংলাদেশে নাটককে পেশা হিসেবে গড়ে তােলা সম্ভব নয় বলে অনেকে মনে করেন। আমি প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী ও স্বপ্নবিলাসী মানুষ, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, স্বপ্ন এবং সাধনায় যে কোনাে কঠিন কাজের সফলতা এনে দিতে পারে। আর নাটকতাে পরিশীলিত চর্চা যা মানুষকে সমাজের প্রকৃত দায়িত্ববান ও মানবিক হতে সহায়তা করে। “মুক্তিযােদ্ধার ডায়েরী” ঐতিহাসিক এই গ্রন্থটি নাট্যশিক্ষার্থীদের সংগ্রহে রাখার মতাে একটি নাট্য সংকলন। যা নতুন নাট্য রচয়িতাদের জন্য দিক নিদের্শনার কাজ করতে পারে।