শামসুদ্দিনের উথালপাথাল সময়ের সঙ্গী আজগর। কোথায় আছে, কেমন আছে কে জানে! আজগর আর স্বাধীনচেতা ত্রিশোর্ধ্ব নবনীর সম্পর্কটা আসলেক কি প্রেম ছিল নাকি বন্ধুত্ব, কোনোভাবেই হিসাব মেলাতে পারেনি শামসু। তবে নবনীর একটা কথায় খবরের কাগজে চাকরি হয়েছিল শামসুদ্দিনের। কালক্রমে যে সুচারু মন ব্যাকুল হয়ে শামসুদ্দিন আর পারুল সংসার পেতেছিল, সে মন এখন উদ্গ্রীব। শামসুদ্দিনের কেন জানি মনে হলো, পারুলও যেন তার কাছ থেকে পালাতে পারলে বাঁচে। কিন্তু সব কিছুকে বোধ হয় বেঁধে রেখেছে ছেলে সভ্যতা। নতুন মায়াতে পড়ে যেন কেউ কাউকে পায়ে ঠেলতে পারে না। কেন এই জটিলতা? পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে একদিন রেবেকা নামের এক সুন্দরী নারীর মুখোমুখি হয় শামসুদ্দিন। রাগ, ক্ষোভ, অভিমান, অলসতা কিংবা গোঁয়ার্তুমি অথবা হাজারো ভুলÑযা-ই থাকুক না কেন হঠাৎ করে শামসুদ্দিনের ভেতর জিদ চাপলÑরেবেকাকে সে না দেখে ছাড়বে না। এর প্রতিশোধ নিতেই হবে। কীভাবে নেবে? কেন নেবে…