এক তরুণ আর তিন তরুণীর গল্প ‘বন মন রমণী’। পটভূমি নীল পাহাড়ি চট্টগ্রাম। গহিন অরণ্য। বুনোফুল। নীল ভোমরার গুঞ্জন। ঝোপঝাড় আর আকাশ ছুঁতে চাওয়া গাছপালার পাতায় বাতাসের মর্মর। উল্লুকের অবাধ উল্লাস, মাঝেমধ্যে হরিণের ডাক। রহস্যময় প্রকৃতি আর তিন তরুণী বনলতা-মা থিন-কু-লীর রহস্যময়তায় আবিষ্ট এক তরুণ। জুমের লাল মাটিতে সবুজ ফসলের সপ্রাণ বিস্তার। গল্প গড়ে ওঠে জুমের মাটি ভেদ করে জেগে ওঠা অঙ্কুরের মতো। সদ্য কৈশোর পেরোনো এক তরুণ প্রথম তরুণীসান্নিধ্যে আবেগ থরো থরো ভালোবাসার অনুভূতিতে নিজেকে বারবার হারায়। তার ভালোবাসার তীব্র আঁচে দহিত হয় তরুণী হৃদয়। তবে তাদের আবেগের আঁচলে বাঁধা থাকে একটা হিসেবের খাতা। নিজেদের অজান্তেই সে খাতায় চোখ বুলোয় তারা। কিন্তু তরুণের পকেটে কোনো নোটবুক নেই। সে হিসেব বোঝে না, বেহিসেবি উচ্ছ্বাস তাকে ¯ স্রোতের মতো ভাসিয়ে নিয়ে চলে। তিন রকমের তিনটা মেয়ে। সহজ সরল অকপট বনলতা, স্নিগ্ধ সুন্দর প্রকৃতির মতো স্থির মা থিন আর কঠিন একগুঁয়ে আর অহংকারী কুণ্ডলী; তার নিজের লোকদের বর্ণনায় পাহাড়ি সাপ। ছোবল দিলে রক্ষা নেই। তরুণ বনলতাকে ভালোবাসে, মা থিনকে ভালোবাসে… এবং ভালোবাসে কু-লীকেও। প্রথম দুজন বিবাহিত, শেষের জনের বিয়ে হয়নি এখনো। বনলতা তাকে টানে সরল কামনায়, মা থিন আকর্ষণ করে আশ্চর্য এক ব্যক্তিত্বম-িত সম্মোহনী ক্ষমতায় আর কুণ্ডলী? ওই যে পাহাড়িরা বলে সাপ! সাপ! তড়িৎ ভ্রুভঙ্গিমায় ফণা তোলে ছোবল বসাতে, কিন্তু তার বুকের ভেতরে ভালোবাসা বেজে ওঠে বীণার মতো। তরুণ তার কোলে মাথা রাখে তার বুকের বাইরে দৃশ্যমান উদ্ধত স্তনের মহিমায় অভিভূত হতে হতে।