সংগ্রামী ছেলে স্বপন। টিকে থাকার প্রয়োজনে একদা অন্যের জমিতে কৃষান দিত সে। ঢাকার অলি-গলিতে চালাত যন্ত্রচালিত রিকশা। তারপর শুরু করে টিউশন। হার-না-মানা স্বভাব ছিল ওর। ক্লাস এইটে বৃত্তি, এসএসসি ও এইচএসসিতে এ-প্লাস এবং সসর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় ইংরেজিতে। ছায়ার মতো একটা মেয়ে পাশে থেকেছে ওর। নাম তার ফাহমি। সমবয়সী ওরা। তুই-তোকারি সম্পর্ক। সম্পর্কটা নিছক বন্ধুত্বের চেয়েও অনেক গভীরে। একদিন বড়ো অফিসার হয় স্বপন। ফাহমির সাথে দেখা করতে গিয়ে খবর পায়— আজ ওর বিয়ে। বুকের ভেতর তোলপাড় করে হাজারো স্মৃতি, হাজারো কথা— কষ্টকথা। প্রশ্ন থেকে যায়— যদি ‘কষ্টকথা’ই হবে এই উপন্যাসের উপজীব্য, তাহলে এর শেষাংশে কেন বলা হয়েছে ‘সাফল্যগাথা’। সেটা জানতেই বিচরণ করতে হবে এই উপন্যাসের আগাগোড়া। আবেগ ও হাস্যরসের ভেতর দিয়ে সহজ-সরল ভাষায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাস্তব জীবনচিত্র।