সরদার ফজলুল করিম বিংশ শতকের চল্লিশের দশক থেকে শুরু করে সত্তরের দশকজুড়ে দেশের সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষা, সর্বোপরি রাজনৈতিক প্রবাহের মুখ্য কুশীলবদের একজন। তাঁর এ বইতে মূর্ত হয়েছে অগ্রসর চিন্তকের ধারাভাষ্যে চার দশকের সমাজ ও রাজনীতির নিবিড় চালচিত্র।
৳ 620.00
লেখক | সরদার ফজলুল করিম |
---|---|
প্রকাশক | প্রথমা প্রকাশন |
আইএসবিএন (ISBN) |
9789849567394 |
ভাষা | বাংলা |
পৃষ্ঠার সংখ্যা | ৩৪২ |
সংস্কার | 1st edition, 2021 |
দেশ | বাংলাদেশ |
সরদার ফজলুল করিম বিংশ শতকের চল্লিশের দশক থেকে শুরু করে সত্তরের দশকজুড়ে দেশের সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষা, সর্বোপরি রাজনৈতিক প্রবাহের মুখ্য কুশীলবদের একজন। তাঁর এ বইতে মূর্ত হয়েছে অগ্রসর চিন্তকের ধারাভাষ্যে চার দশকের সমাজ ও রাজনীতির নিবিড় চালচিত্র।
মে ১, ১৯২৫- সালের পহেলা মে বরিশালের আটিপাড়া গ্রামের এক কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন৷ বাবা খবিরউদ্দিন সরদার কৃষিকাজ করতেন৷ মা সফুরা বেগম ছিলেন গৃহিণী৷ তাঁরা দুই ভাই তিন বোন৷ সরদার ফজলুল করিমের শৈশবকাল কেটেছে গ্রামে৷ ম্যাট্রিকুলেশন শেষে তিনি প্রথম ঢাকা আসেন ১৯৪০ সালে। ঢাকায় ১৯৪২ সনে তিনি তার আই.এ. পাঠ সমাপ্ত করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৪৫ সনে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স ও ১৯৪৬ সনে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্রে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীতে তার সাম্যবাদী বামপন্থী সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলনে যুক্ত থাকার পর্যায়ে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক নিগৃহীত হন। রাজবন্দি হিসেবে দীর্ঘ ১১ বৎসর বিভিন্ন পর্যায়ে কারাজীবন যাপন করেন। জেলে থাকা অবস্থাতেই ১৯৫৪ সনে তিনি পাকিস্তান সংবিধান সভার সদস্য হিসেবে কাজ করেন। পরে ১৯৬৩ থেকে '৭১ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি পাকিস্তান হানাদারবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হন। পরবর্তিতে তিনি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত শিক্ষক হিসেবে শিক্ষাদান শুরু করেন। তিনি ১৫ জুন, ২০১৪ তারিখে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়মারা যান৷