ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে শত শত বছর ধরে ঘটে যাওয়া ঐতিহাসিক কাহিনি— নদীবহুল দক্ষিণ ও পূর্ব বাংলার কতক অংশ জনশূন্য শ্মশানে পরিণত হয়েছিল বর্গিদেও অত্যাচারে। বর্গির হাঙ্গামার জন্যে কারা দায়ী—অনার্য হুনজাতি, ফিরিঙ্গি ও মগ বোম্বেটেদের? আর এর ধারাবাহিক অত্যাচারের মূলে রয়েছে কি ভারতগৌরব ছত্রপতি শিবাজী? শেষ পর্যন্ত আলিবর্দী বর্গিদের কীভাবে তাড়িয়ে দিলেন? সিন্ধুদেশের প্রধান বন্দর দেবুলের নিকটে হলো আরবের সঙ্গে ভারতের সর্বপ্রথম শক্তি পরীক্ষা। হিন্দুরা হলো জয়ী। আরব সৈন্যদের কতক মারা পড়ল, কতক পালিয়ে বাঁচল। সেনাপতি উবেদুল্লাও দেহরক্ষা করলেন যুদ্ধক্ষেত্রে। হাজাজ আরও বেশি সৈন্যের সঙ্গে আবার সেনাপতি বুদেলকে পাঠালেন দাহীরের বিরুদ্ধে। আবারও হিন্দুরা হলো জয়ী। এবারে সেনাপতি হলেন হাজাজের ভাইয়ের ছেলে ও জামাই ইমাদ-উদ-দীন মহম্মদ। সঙ্গে বিশাল বাহিনী নিয়ে মহম্মদ দেবুল দুর্গ অবরোধ করলেন। দুর্গের ভিতর ছিল মাত্র চার হাজার রাজপুত সৈন্য। রাজপুতরা পারল কি দেবুল দুর্গ রক্ষা করতে? এই সবই আমরা গল্পের মতো করে জানতে পারব হেমেন্দ্রকুমার রায়-এর ‘ঐতিহাসিক গল্পসংগ্রহ’ গ্রন্থটিতে।