‘রবিকাকা’র কথায় ‘এক ঝোঁকে’ অবনীন্দ্রনাথ লিখে ফেলেছিলেন ‘শকুন্তলা’। ‘শকুন্তলা’র উৎস প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্য। ‘ক্ষীরের পুতুল’-এর গল্পটি অবনীন্দ্রনাথ নিয়েছিলেন কবি-পত্নীর রূপকথার খাতা থেকে। রবীন্দ্রনাথের কথাতেই একটি খাতায় রূপকথার গল্প সংগ্রহ করে লিখে রাখতেন মৃণালিনী দেবী। ‘নালক’ ও ‘শকুন্তলা’র মতো সাহিত্য অতী প্রাচীন। ‘বুড়ো আংলা’র উৎস খুঁজতে তো পৌঁছে যেতে হয় সুইডেনে। দেশি-বিদেশি যে কাহিনি-ই অবনীন্দ্রনাথ নির্বাচন করেছেন, আপন মনের মাধুরীতে তা সবসময়ই হয়ে উঠেছে আশ্চর্য মৌলিক। ‘বুড়ো আংলা’ পড়তে গিয়ে কখনোই মনে হয় না, দেশান্তরের গল্প। রিদয় একান্তই আমাদের ঘরের ছেলে। জাতক-কাহিনি অবলম্বনে রচিত ‘রাজকাহিনি’র গল্প-উৎস খুঁজতে আমাদের যেতে হবে টডের রাজস্থানে। অবনীন্দ্রনাথের অনেক বই। কিন্তু তাঁর সেরা বই, ছোটোদের মহলে সমাদৃত বই কোনগুলি এ প্রশ্ন করলে যে চারটি লেখার কথা আসে—নালক, বুড়ো আংলা, শকুন্তলা, ক্ষীরের পুতুল, রাজকাহিনি।