শ্রেষ্ঠ অবনীন্দ্রনাথ

৳ 380.00

লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রকাশক রেনেসাঁ
আইএসবিএন
(ISBN)
9789849441366
ভাষা বাংলা
পৃষ্ঠার সংখ্যা ৩০৪
সংস্কার 1st Published, 2021
দেশ বাংলাদেশ

‘রবিকাকা’র কথায় ‘এক ঝোঁকে’ অবনীন্দ্রনাথ লিখে ফেলেছিলেন ‘শকুন্তলা’। ‘শকুন্তলা’র উৎস প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্য। ‘ক্ষীরের পুতুল’-এর গল্পটি অবনীন্দ্রনাথ নিয়েছিলেন কবি-পত্নীর রূপকথার খাতা থেকে। রবীন্দ্রনাথের কথাতেই একটি খাতায় রূপকথার গল্প সংগ্রহ করে লিখে রাখতেন মৃণালিনী দেবী। ‘নালক’ ও ‘শকুন্তলা’র মতো সাহিত্য অতী প্রাচীন। ‘বুড়ো আংলা’র উৎস খুঁজতে তো পৌঁছে যেতে হয় সুইডেনে। দেশি-বিদেশি যে কাহিনি-ই অবনীন্দ্রনাথ নির্বাচন করেছেন, আপন মনের মাধুরীতে তা সবসময়ই হয়ে উঠেছে আশ্চর্য মৌলিক। ‘বুড়ো আংলা’ পড়তে গিয়ে কখনোই মনে হয় না, দেশান্তরের গল্প। রিদয় একান্তই আমাদের ঘরের ছেলে। জাতক-কাহিনি অবলম্বনে রচিত ‘রাজকাহিনি’র গল্প-উৎস খুঁজতে আমাদের যেতে হবে টডের রাজস্থানে। অবনীন্দ্রনাথের অনেক বই। কিন্তু তাঁর সেরা বই, ছোটোদের মহলে সমাদৃত বই কোনগুলি এ প্রশ্ন করলে যে চারটি লেখার কথা আসে—নালক, বুড়ো আংলা, শকুন্তলা, ক্ষীরের পুতুল, রাজকাহিনি।

Abanindranath Tagore ৭ আগস্ট, ১৮৭১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন খ্যাতিমান ভারতীয় চিত্রশিল্পী, নন্দনতাত্ত্বিক এবং লেখক।তিনি প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের প্রপৌত্র এবং মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৃতীয় ভ্রাতা গিরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৌত্র ও গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠ পুত্র। সে দিক থেকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার পিতৃব্য ছিলেন। পিতামহ ও পিতা ছিলেন একাডেমিক নিয়মের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রজন্মের শিল্পী। এ সুবাদে শৈশবেই চিত্রকলার আবহে বেড়ে ওঠেন তিনি। ১৮৮১ থেকে ৮৯ পর্যন্ত সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়ন করেন। ৮৯ সালেই সুহাসিনী দেবীর সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। ১৮৯০ এ গড়া রবীন্দ্রনাথের খামখেয়ালি সভার সদস্য হয়ে তিনি কবিতা পড়েছেন, নাটক করেছেন। ১৮৯৬ সালে কোলকাতা আর্ট স্কুলের সহকারী অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। ভারতীয়দের মধ্যে তিনিই প্রথম এই মর্যাদা লাভ করেন। ১৯১১ সালে রাজা পঞ্চম জর্জ ও রানী মেরি ভারত ভ্রমণে এলে আর্ট গ্যলারি পরিদর্শনের সময় তাদেরকে ওরিয়েন্টাল আর্ট সম্পর্কে বোঝাবার দ্বায়িত্ব পান। ১৯১৩ সালে লন্ডনে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়, এবং তিনি ইংরেজ সরকারের কাছ থেকে সি আই ই উপাধী লাভ করেন। কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি-লিট প্রদান করে ১৯২১ সালে। ১৯৪২ সালে শিল্পীপত্নীর মৃত্যু হয়। ১৯৪১ থেকে ৪৫ পর্যন্ত শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর আচার্য রূপে দ্বায়িত্ব পালন করেন। অবনীন্দ্রনাথের চিত্রকলার পাঠ শুরু হয় তৎকালীন আর্ট স্কুলের শিক্ষক ইতালীয় শিল্পী গিলার্ডির কাছে। তার কাছে অবন শিখেন ড্রয়িং, প্যাস্টেল ও জলরং। পরবর্তীতে ইংরেজ শিল্পী সি এল পামারের কাছে লাইফ স্টাডি, তেলরং ইত্যাদি শিক্ষা অর্জন করেন। ভারতীয় রীতিতে তার আঁকা প্রথম চিত্রাবলি ‘কৃষ্ণলীলা-সংক্রান্ত’। এই রীতি অনুসারী চিত্রশিল্পের তিনি নব জন্মদাতা। প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা আনুমানিক ছাব্বিশ। গল্প কবিতা চিঠিপত্র শিল্প আলোচনা যাত্রাপালা পুথি স্মৃতিকথা সব মিলিয়ে প্রকাশিত রচনা সংখ্যা প্রায় তিনশ সত্তরটি। পিত্রব্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অণুপ্রেরণায় লেখালেখির সূত্রপাত। কবিগুরু ‘বাল্য গ্রন্থাবলী’র কর্মসুচী শুরুর প্রাক্কালে বলেছিলেন, ছোটদের পড়বার মত বই বাংলাভাষায় বিশেষ নেই। এ অভাব আমাদের ঘোচাতে হবে। তুমি লেখ।তিনি ১৯৫১ সালে ৫ই ডিসেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন →
বই সম্পর্কে কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত থাকলে আমাদেরকে জানান
শেয়ার করুন

লেখকের অন্য বইসমূহ

প্রকাশকের অন্য বইসমূহ