মুখ্যত কবিতা হলো এক ধরনের বোধ। কবি সেই বোধকে প্রকাশ করেন ভাষা ও শব্দের ভেতর দিয়ে। এই প্রকাশেরও রয়েছে আবার নানারকম প্রকরণ। যেমন উপমা, উৎপ্রেক্ষা, চিত্রকল্প, ব্যাঞ্জনা, ইঙ্গিতময়তা ইত্যাদি। সেইসঙ্গে যথার্থ শব্দ ব্যবহারের দক্ষতা তো রয়েছেই । কবিতার এইসব অনুষঙ্গ যার হাতে যতবেশি সাবলীল তিনি তত ভালো কবি ।
বোরহান মাহমুদের কবিতায় সেই সাবলীল দক্ষতার পরিচয় মেলে । বিশেষ করে তার বোধের কাব্যিক প্ৰকাশ পাঠককে অনুভূতির ভিন্ন এক জগতে নিয়ে যায়। যে জগতে স্বপ্ন ও বাস্তবতা একসাথে খেলা করে।
কবিতার সম্যক প্রকাশ-প্রকরণ ছাড়াও আত্মার সত্য যুক্ত হলে সে কবিতা মহৎ হয়ে ওঠে। কবির এই বইয়ের কবিতাগুলোয় সে মহত্বের ইঙ্গিত কতটা বিদ্যমান তার বিচারভার পাঠকের হাতে ছেড়ে দেয়াই উত্তম। কেননা, পাঠকই গুণ বিচারের নির্ধারক।