রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একদিন তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কেউ যদি প্রশ্ন করে তুমি কী করো, তবে কী বলবে?’ শৈলজারঞ্জন বললেন, ‘আমি অধ্যাপনা করি বলবো।’ রবীন্দ্রনাথ আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘অধ্যাপনা তো করো, কী বিষয়ে বলবে?” শৈলজারঞ্জন বললেন, ‘কেন, কেমিস্ট্রির?’ তখন রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘না না, একটা নয়, দুটো মিশিয়ে বলবে।’ শৈলজারঞ্জন জানতে চাইলেন, ‘কার সঙ্গে কী মেশাবো?’ রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘হয় বলবে কেমিক্যাল মিউজিক, নয় বলবে মিউজিক্যাল কেমেস্ট্রি’। অর্থাৎ তাঁর ‘বিজ্ঞায়নের রসায়ন’ দিনে দিনে পরিণত হয়েছিল সঙ্গীত বা ‘রাগরাগিণীর রসায়ন-এ। আরেকদিন রবীন্দ্রনাথ তার কাছে জানতে চাইলেন, ‘বলো তো ওই কেমিস্ট্রিটা তোমার ভালো লাগে, না আমার গান?’ তখন শৈলজারঞ্জন মজুমদার বললেন, ‘উভয়েই উভয়ের পরিপূরক।’ উত্তর শুনে রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘তা তো তুমি বললে। তুমি বিচারবুদ্ধি দিয়ে কথাটা বলেছ মনে হয়, কিন্তু তোমাকে দেখলে আমার মনে হয় যে, আমার গান ছাড়া পৃথিবীতে তোমার কিছুই ভাল লাগে না।’