চট্টগ্রামের শিক্ষাবিস্তারে বিশেষ অবদান রাখা অধ্যক্ষ যােগেশ চন্দ্র সিংহ, বিশিষ্ট রম্য-কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন আহমদ, বিশ্ববিখ্যাত ঐতিহাসিক ড. আবদুল করিম, প্রাচ্য-মনীষাখ্যাত সাহিত্যিক আহমদ ছফা, আরেক রম্যসাহিত্যিক অধ্যক্ষ মােহাম্মদ হােসেন খান, বিশিষ্ট কবি ময়ূখ চৌধুরী, কবি ফাউজুল কবির, কবি ওমর কায়সার, কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস এবং ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ, ড. মনিরুজ্জামান, ড. আজাদ বুলবুলের সাহিত্যকর্মের বিষয়ে আমার নিজস্ব চিন্তা এ গ্রন্থের প্রবন্ধগুলােতে ধৃত হয়েছে। চট্টগ্রামের কবি-সাহিত্যিক বলতে আমরা এতদাঞ্চলের সকল কবিসাহিত্যিককে বুঝাইনি। এ গ্রন্থে নির্দিষ্ট ক’জন গুরুত্বপূর্ণ লেখক স্থান পেয়েছে যারা স্বস্ব ক্ষেত্রে বিশিষ্ট। বাংলা সাহিত্যের সকল চট্টগ্রামী লেখককে নিয়ে গ্রন্থটি তৈরি করতে পারলে এবং প্রাচীন-মধ্য-আধুনিক যুগের সবাইকে স্থান দিতে পারলে আমাদের ভালাে লাগতাে। কিন্তু তা সম্ভব শুধু সাহিত্যের ইতিহাস রচনায়। প্রবন্ধগ্রন্থে কাজটা প্রায় অসম্ভব। এজন্য আমার এ প্রবন্ধগ্রন্থে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট যে কয়জনকে স্থান দেয়া সম্ভব হয়েছে তাদের সম্পর্কে আমার মূল্যায়ন পাঠকদের হতাশ করবে না।