হে নিঃসঙ্গ সৈনিক, যুদ্ধের উন্মাদনায়
ক্লান্ত কি তুমি?
পরাক্রম, পরাভব যতো মেটাও বৃক্ষের উপর।
হে বোদ্ধা মানুষ, জ্ঞানের চরম শিখরে উঠে
অরণ্য নিধন যজ্ঞে মেতে কি ফল পেলে,
হয়েছো নিঃসঙ্গ কতো, দেখেছো কি ভেবে?
উপাসনালয় বন্ধ তোমার, উৎসব, সামাজিকতা
বুকে বুকে দূরে থাক, হাতটা বাড়ানোও বন্ধ তোমার
আর কতো নিঃসঙ্গ চাও হতে?
আপাত নিরীহ ভেবে উজাড় করেছো
দেখোনি প্রয়োজন, লোভের আগুনে
ছারখার করেছো অরণ্য প্রতিক্ষণে।
দেখোনি ভবিষ্যৎ তার, রাখোনি অস্তিত্ব,
হয়তো সহ্য করেছে সে, একটা সময়কাল
শুধু ভালোবেসে তোমায়, তোমারই প্রয়োজনে।
কিšদ সে বৃক্ষরাজি…
তোমার অস্তিত্ব, তোমার আগামীকেই চায় বলে
শুধু দাঁড়িয়েছে ঘুরে সামান্য।
এখনো সময় আছে, ফিরে যাও তুমি
হে আমার নিঃসঙ্গ সৈনিক,
গড়ে তোলো নতুন প্রকৃতি, নতুন অরণ্য।