ফ্ল্যাপ:
কবি মুজিব আকন্দ
জলঘরে নরক দর্শন
কবি মুজিব আকন্দ এক ছান্দসিক কবি’র প্রতিমূর্তি। অসাধারণ ছন্দের উর্মিমালা লহরি তুলে আছড়ে পড়ে তার কাব্যের উপকুলে। দীর্ঘদিন ধরে কবিতার সাথে কবি’র জানাশুনা। বাকি জীবন কবিতার হাত ধরে কাটিয়ে দিতে চান কবি মুজিব আকন্দ। “জলঘরে নরক দর্শন” কবি’র তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। এই নিয়ে কবি’র মোট ৩টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
কবি’র কলমে জাদু আছে। ছোট পয়ারের চার লাইন বিশিষ্ট এক ছন্দের হিল্লোলে কবি তাঁর কবিতার শরীর অলংকৃত করে থাকেন। আর সাথে ভেতরে পুরে দেন এক রহস্যময়তার ইন্দ্রজাল। যেখানে পাঠক মাত্রই এক কুহকের অবগুন্ঠনে মোহাবিষ্ট হয়ে পড়েন।
কবি মুজিব আকন্দের লেখাতে মানবতাবাদী ভাবধারার সাথে নীতিবোধের সমন্বয় হয়ে একবিন্দুতে লিন হয়ে গেছে? তাঁর চেতনা আমাদের ক্ষয়িষ্ণু সমাজের ক্ষেত্রে খুবই প্রযোজ্য। কবি একজন ভাববাদী দার্শনিক। তার কবিতার লাইনে লাইনে ভাববাদ চমকিত করে হৃদয়কে নিয়ে যায় দূর ছায়াপথে।
ভাবনার এক কুশলি কারিগর কবি মুজিব আকন্দ। তাঁর কবিতায় এক ছায়ামানবীর প্রচ্ছন্ন অবয়ব পাঠকের দূরবীনে ধরা পড়বে। যাকে তাঁর পূর্ণ অবয়বে কখনই দেখা যায় না। এক্ষেত্রে কবি অনন্য দক্ষতার সাথে তাকে লুকিয়ে রেখেছেন তাঁর পঙক্তির ভাঁজে ভাঁজে। এই কারণে তাঁর কবিতা পাঠকের কাছে হারমেটিক কবিতা মনে হতে পারে। তবে তা কখনই হারমেটিক নয়।
কবি তাঁর কবিতায় উপমা, তুলনা, রুপকের ব্যবহার করেছেন অনন্য কুশলতায়। তাঁর কবিতায় যা সবচেয়ে বেশী প্রাঞ্জল তা হলো প্রেম আর নিসর্গ। প্রকৃতির রূপমুগ্ধ কবি মুজিব আকন্দ গ্রাম বাংলার শ্যামল প্রকৃতির এক অনবদ্য রূপকল্প এঁকেছেন অসাধারণ সৃষ্টিশীলতায়। তাঁর কবিতা সম্ভবনার কথা বলে। তবে তাকে শুধুই ছন্দের বেড়াজালে আবদ্ধ না থেকে রোমান্টিকতার পাশাপাশি দ্রোহ, দেশপ্রেম জাতীয়তা সমাজকে নিয়ে আরো ভাবতে হবে বৈশ্বিক পরিমন্ডলে।
আমার বিশ্বাস কবি’র কলম আরো বহুদুর যাবে। তাঁর কাব্যগ্রন্থ “জলঘরে নরক দর্শন” ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পাবে, ভালোবাসা পাবে। কবি’র জন্য শুভকামনা।
মাহবুব খান
কবি, ঔপন্যাসিক
প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব
অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ।