বইয়ের ফ্ল্যাপ:
‘অবগুণ্ঠনে ছায়ামানবী’
আহমেদ কামাল খোকন
আরব সাগরের নীলজল যার স্বপ্নময় চোখে বিস্ময়ের ইন্দ্রজাল বিছিয়ে দেয়। যে কবি স্বপ্ন দেখেন এক শিল্প সাহিত্যের জমিদারির। যে কাব্যসম্ভার সাম্রাজ্যের তিনিই একচ্ছত্র অধিপতি। তিনিই ‘অবগুণ্ঠনে ছায়ামানবী’ কাব্যগ্রন্থের রোমান্টিক কবি ঔপন্যাসিক ও গল্পকার আহমেদ কামাল খোকন।
রোমান্টিক ঘরাণার এই কবি তাঁর ‘প্রতিদিন দেখি’ কবিতায় সাহসভরে উচ্চারণ করেন–
‘নিতু তুই কি জানিস,
তোকে প্রতিদিন দেখি,
স্বপ্নে দেখি।
তোর কলার বোনে, নেকলেসের দাগ
ভেজা চুলের ঝরা জলে, সিক্ত ব্লাউজের একাংশ প্রতিদিন দেখি।’
কলম চালনায় দক্ষ কবি, ছন্দের সকল শাখায় অবাধে বিচরণ করে থাকেন। গদ্যছন্দের সাথে সাথে অন্তমিলের অদ্ভুত এক সমন্বয় ঘটাতে পারেন কবিতার পঙক্তিতে। তার সাথে টেনে আনেন বেহুলা, তিলোত্তমা, চর্যানারীসহ আসাধারণ সব মিথ। ফলে তাঁর কবিতা তখন পৌঁছে যায় সাহিত্যের এক অনন্য উচ্চতায়।
কবি’র কলমে প্রেম আর প্রকৃতি সংহারি মুর্তিতে উজ্জীবিত। যা যে কোনো পাঠককে হারপুনে গেঁথে ফেলতে একটুও দ্বিধা করবে না।
কবি আহমেদ কামাল খোকন-এর কবিতায় এক মানস সুন্দরীকে দেখা যায়, যাকে কবি আবিষ্কার করতে চান ভিসুভিয়াস অগ্নিগিরির লাভার ভেতর থেকে, যাকে তিনি উপলব্ধি করে কবিতার শরীরে সেই নারীকে গেঁথে দেন অনন্য মুন্সিয়ানায়।
এই কাব্যগ্রন্থের কয়েকটি কবিতায় ‘দ্যা লেডি অব ইমপার্টো’, স্বপ্ন বউ, সে কথা, এই কবিতাগুলোতে সুররিয়ালিজম বা পরাবাস্তবের এক মিষ্টি পদধ্বনি শোনা যায়।
অন্যদিকে কবিতা বিনির্মাণের অনন্য অনুসঙ্গ, উপমা, তুলনা, উৎপ্রেক্ষা, অলংকারের সবটাই তাঁর কবিতায় বিদ্যমান। যা কবিতাকে দিয়েছে আরো গতিময়তা। কবি’র কবিতায় অসাধারণ চিত্রকল্পের ঘনঘটা লক্ষণীয়।
সব দিক বিবেচনা করলে কবি ঔপন্যাসিক ও গল্পকার আহমেদ কামাল খোকন-এর কবিতা এক স্বার্থক সৃষ্টি। যা পাঠককুল পড়ে আপ্লুত হবেন।
কবিতা খুজে পাক তার কাঙ্খিত ঠিকানা আর জিতে আনুক ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা। জয় হোক কবি’র, জয় হোক কবিতার। শুভ কামনায়।
মাহবুব খান
কবি উপন্যাসিক
প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব
অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ।