আলিজা ফিসফিস করে বললো, ‘জহির ছোটবেলায় আমি না একবার প্রেমে পড়েছিলাম। তিনি আমার গৃহশিক্ষক ছিলেন। হুঁট করে একদিন বললেন, চলো পালিয়ে যাই। আমি তার সাথে পালিয়ে পুরো ঢাকা শহর ঘুরেছি। তখন ক্লাস এইটে পড়ি। তোমার কি কিছু জানতে ইচ্ছে করছে? যেমন ধরো তার সাথে আমার ‘কিছু’ হয়েছে কি-না? জহির চুপ করে রইলো। প্রথম দিন সব কিছু জানতে নেই। সব কিছুকেই সময় দিতে হয়। হুট করে প্রেমে পড়া যেমন বারণ, তেমনি এক প্রেমে থেকে আরেক প্রেমে লাফ দেওয়াটা অকারণ। জহির নির্ভেজাল সাধাসিধে মানুষ। জীবনে ঝামেলা বাড়ানোর কোনো মানে নাই। যা হয়েছে অতীতে, তা অতীতের সাথেই না হয় মিশে যাক। জহির স্পষ্ট গলায় বললো, ‘না আমি শুনতে চাই না। যদি কখনো তোমার বাবাকে নিয়ে কিছু বলতে ইচ্ছে করে, আমাকে জানাবে। আই অ্যাম এ গুড লিসেনার।’ ‘তুমি সত্যি জানতে চাও না?’ জহির চুপ করে থাকলো। তারপর বললো, ‘কফি খেতে চাইলে কাল দুপুরে ফোন দিও। আমি ফ্রি থাকবো।’ প্রসঙ্গটা যতটা সম্ভব এড়িয়ে গেল জহির। প্রেমিকাদের পুরানো প্রেম যত কম ঘাটানো যায়, ততো ভালো।