“মুসলিম বীরাঙ্গনা” ইসলামের ইতিহাসে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণকারী বীর নারীদের বীরত্বগাথার স্মারক। তৎকালীন পরিস্থিতিতে পুরুষের পাশাপাশি মুসলিম নারীরাও অংশগ্রহণ করতেন যুদ্ধে। পালন করতেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বীরনারী খাওয়ালার অসম সাহস আর আত্মসম্মানবোধ যেন সেটাই প্রমাণ করে-“কী, এতো বড় সাহস! আমাদেরকে বন্দী করে ওরা দামেশ্কে নিয়ে যাবে? ভগিনীগণ! আর কথা কি? তোমরা আমার পশ্চাৎ অনুসরণ করো। খাওয়ালা দুর্বল হস্তে অসি ধরবে না। খ্রিস্টানের বন্দিনী হয়ে তাদের বিলাসের দাসী হতে পারবে না।” যুদ্ধক্ষেত্রে এমন সাহসী উচ্চারণ প্রকৃতপক্ষেই মুসলমানদের মনোবল বৃদ্ধি করতো। নয়জন মুসলিম বীর নারীর বীরত্বগাথা নিয়েই “মুসলিম বীরাঙ্গনা” নারী জাগরণের প্রেরণাদাত্রীর ভূমিকায় অবতীর্ণ।