আপন বিচরণের বলয়ের বিস্তারে মানুষ আমৃত্যু সচেষ্ঠ থাকে। রোটারিতে আমার প্রবেশ হয় ডিসেম্বর ১৯৮৭ সালে। রোটারি ক্লাব অব ঢাকা সাউথের পথ ধরে। সেখানে দেড় বছরকাল অর্থাৎ জুন ১৯৮৯ অবধি ছিলাম। তখন রোটারি কেবল বুঝতে শুরু হলো। তারপর জুলাই ১৯৮৯ থেকেই রোটারি ক্লাব অব মতিঝিলের সূর্যোদয় শুরু। ক্লাব রোটারি ইন্টারন্যাশনেলের সনদ পায় ১৮.১০.১৯৮৯-তে। ক্লাবের চার্টার সদস্য হয়ে ‘রোটারিয়ান’ হতে অহর্নিশ মনোস্কামনার ধারক ছিলাম। বলে রাখি রোটারির সদস্য আর ‘রোটারিয়ান’ হওয়ার মধ্যে যোজন যোজন ফারাক। কতো বিচিত্র রোটারি স্মৃতির ৩৪ বছরের সঞ্চিতির বাহক এই গ্রন্থকার। বেশ কয়েকজনকে আমাদের ক্লাবের রোটারি পরিষেবায় এনেছি। তারা সবাই আজ নিবেদিতপ্রাণ রোটারিয়ান। মানবতার অকুতোভয় সৈনিক। সম্পদ ও সংগতি নিয়ে সদিচ্ছা থাকলেই মানবতার কাজ করা যায়। সদিচ্ছাই সাধ ও সাধ্যকে একাকার করে। এভাবেই রোটারিয়ান হয়ে ওঠা ও সেবার ব্রতে এগিয়ে যাবার পথিক হয়েছি। শেষ নিঃশ্বাস অবধি সাধ্যানুযায়ী দান ও সেবাদানে নিবেদিতপ্রাণ থাকার একান্ত বাসনা।