সেবার পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথমে জানা গেলÑ বৃত্তি আসেনি। বকাঝকার অন্ত রইলো না। তার বিষণœ মন ভাবলোÑ এবার পড়ালেখা করতেই হবে। যদিও কয়েকমাস পর জানা গেলÑ বৃত্তি তার ভাগ্যে জুটেছে। আগে তার নাম অন্য স্কুলে ভুলে চলে গিয়েছিলো। অবশ্য, ততোক্ষণে সে সব হবার চিন্তা বাদ দিয়ে কোমরবেঁধে পড়াশুনায় লেগে পড়েছিল। এবার সপ্তম শ্রেণিতে তার ইংরেজি শিক্ষক দুলাল স্যার স্বপ্ন দেখালেনÑ রাষ্ট্রদূত হবার! শুধু জানালেনÑ ইংরেজি ভাল জানতে হবে। অমনি তার মাথায় ভুত চেপে বসলো। কখনো রাত জেগে, কখনো জেলেদের ডিঙি নৌকায় শুরু হলো কিটস, শেলী ও বাইরনের কবিতা পাঠ। আসরে পৌরহিত্য করতেন দুলাল স্যার, শিষ্য দু’জন-ও আর নবদা। চাঁদনি রাতে কপোতাক্ষের বুকে কবিতা পাঠের আসর তার কৈশোর মনে ঢেউ তুলেছিল বটে; তবে শুধু তাতে যে রাষ্ট্রদূত হওয়া যাবে নাÑ তা তখন বুঝতে পারেনি।