বাংলাদেশের সিনেমার ক্রমবিবর্তন নিয়ে কথা বলে এ বইয়ের সূচনা, ফলে বিশ্বনাগরিকের দর্শনগত জায়গা থেকে আমরা যখন ভাবি আমাদের কোনো দেশ নেই, তানভীর পিয়াল সেখানে দেশভাবনা আত্মস্থ করেই কাঁটাতার পেরিয়েছেন। প্রযুক্তির সাথে সাথে সিনেমার বদল-বিবরণ, বাংলাদেশের সিনেমা-ইতিহাস দশকওয়ারি নথিবদ্ধ করেছেন প্রতিবেশি দেশের নিরিখে। সুলিখিত নাম-প্রবন্ধেই তার মিতায়তন গ্রন্থের অভিমুখ স্পষ্ট। তিনটি সিনেমা নিয়ে ভাবনা, তিন চলচ্চিত্রকারের আলাপ এবং আরো তিন মহৎ নির্মাতার নির্মাণভাবনা একত্র করে সিনেমা দেখার চোখ-এর শরীরনির্মিত। ভিনদেশি পরিচালকদের আলাপ স্বাদু গদ্যেই অনূদিত, কখনো তা নিজেদের ভাষার বলে ভ্রম ঘটে। আমি কোনো বই পাঠ বা সিনেমা দেখার সময় ভাবি, জীবনের একটা সময় পাঠক-দর্শক ছিলাম তার আনন্দদায়ক পূর্ণ বিনিময় ঘটলো কি না! আমি এইটুকু নিশ্চিত করতে পারি, সম্ভাব্য পাঠককে, আপনার সময় বিনিয়োগ বৃথা যাবে না। আসুন, আন্তরিক গদ্যভাষায় প্রবেশ করি।