“পৃথিবীর সেরা রূপকথা” গল্পগুলো শিশু-কিশোরদের একান্ত উপযোগী। সর্বকালের সকলদেশের রাজা-রাণী, দৈত্য-ডাইনী, পরী-বামনের কথা ভেবে আনন্দ পায়। তাদের কাছে পশু, পাখী, সাপ, ব্যাঙ, মাছ কথা বলে। দুষ্ট দৈত্যকে মেরে রাজপুত্র যখন রাজকন্যাকে উদ্ধার করে, ডাইনী যখন কাক হয়ে উড়ে যায়, পরের উপকার করে গরীব সৈনিক যখন অর্ধেক রাজত্বের রাজা হয়ে বসে তখন শিশু-কিশোরদের মনে তৃপ্তি পায়। কল্পনাকে প্রসারিত করে, শিশু-কিশোরদের মনকে পরিপূর্ণভাবে বিকাশ করে তোলার পক্ষে এই গল্পগুলোর বিশেষ উপকারিতা আছে। শিশু-কিশোরদের অনুভূতি ও বিচারবুদ্ধিকে এই গল্পগুলো সজাগ করে তোলে। নিছক আনন্দের মধ্যে দিয়ে এই গল্পগুলো ছোটদের কাছে যে শিক্ষা পরিবেশন করে তার উপকারিতা যুগে যুগে অনুভব করেছেন। ছোটদের মনের খবর যারা রাখেন সেই মা, দাদা-দাদুরা। তাঁদেরই মুখে মুখে আদিকাল থেকে এই ধরণের লোকসাহিত্য চলে আসছে পৃথিবীর সকল দেশে। এর মধ্যেকার সুরটুকু সব দেশেই এক। সেইজন্য একদেশের রূপকথা আরেকদেশের ছেলেমেয়েদের কাছে সমানভাবেই আনন্দবর্ধক। সেই কারণেই ‘গ্রিমস ফেয়ারি টেলস’ গল্প শুধু জার্মানির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, সব দেশের শিশু-কিশোরদের কাছেই তা ছড়িয়ে পড়েছে।